ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৮ ১৪৩১

রাঙ্গুনিয়ার সরকারি জমি জাল দলিলে বেচাকেনা, তদন্তে প্রমাণিত

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জাল দলিলে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি জমি কেনাবেচার সত্যতা পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

গত মার্চ মাসে প্রতারণার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলায় ৫ জনকে আসামি করে ৪২০/৪২৭/৪৪৭/১০৯/৫০৬ (২) ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। আদালতে এ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ ৩ বছরের সাজা হতে পারে।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর বাগান ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করে গাছ কেটে ঘর বেঁধে হুমকি-ধমকি দিয়ে অপরাধ সংঘঠন করেছে।

অভিযুক্ত বিবাদী অর্থাৎ আসামিরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৩৮), মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন (৪২), আমজাদ হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল হক (৪৩), মোহাম্মদ ফোরকান (৪০)। এরা সবাই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার অধিবাসী।

সিআইডি চট্টগ্রামেরর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোশায়েদ উল্লাহ ভূঁইয়া চার মাস ধরে তদন্ত শেষে ৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি রাঙ্গুনিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্র্রেটের আমলি আদালতে জমা দেন। তদন্ত কর্মকর্তা একুশে টেলিভিশনকে বলেন, ‘বন বিভাগ থেকে লিজ নেয়া জমি হস্তান্তর কিংবা বিক্রির কোনো আইন নেই। ১২ জন স্বাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, বাদী মাহবুবুল আলমের লিজের জমিটি আসামিরা যে দলিলের মাধ্যমে দখলে নিয়েছেন সেটি ছিল জাল।’

প্রায় ১৬ বছর আগে ২০০৬ সালে রাঙ্গুনিয়ার মাহবুব আলম সামাজিক বনায়নের জন্য ৮ কানি জমি লিজ নিয়ে সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার ফলদ ও ওষধি গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু জাল দলিলের মাধ্যমে মাহবুব আলমের লিজ নেয়া জমি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বেদখল করে নেয় হাবিবের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন দখলদার।

হাবিবুর রহমান বেদখলে নিয়ে জমিতে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে অবৈধ সংযোগও নেয় জাল দলিলের মাধ্যমে। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন এ বিষয়ে বলা হয় যে, গ্রাহক অর্থাৎ বেদখলকারী নিজে মিটার কিনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ‘রাঙ্গুনিয়ার সরকারি জমি জাল দলিলে বেচাকেনা! জানে না বন বিভাগ’ শিরোনামে একুশে টেলিভিশনের অনলাইনে প্রচারিত হয়।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক বনায়ন করে গাছ বিক্রির ৪৫ শতাংশ পাবে বন বিভাগ, ১০ শতাংশ যাবে ফার্মিং ফান্ডে বাকি ৪৫ শতাংশ ভূমির লিজ গ্রহীতার।

এসি