ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধায় স্বজনদের স্বস্তি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার
করোনা রোগীদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। আইসিইউ সুবিধা থাকায় কিছুটা স্বস্তি স্বজনদের চোখেমুখে। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে আরও বেশি সংখ্যক রোগীর সেবা দেয়ার কথা জানান হাসপাতাল পরিচালক।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে সুনামীর মত, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। প্রকট হয়ে উঠছে আইসিইউ সংকট। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুরেখা উর্ধ্বমুখী। অসহায় স্বজনেরা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছেন রোগী নিয়ে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর মহাখালীতে চালু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড নাইনটিন হাসপাতাল। ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগী নিয়ে আসা হচ্ছে এখানে।
রোগীর স্বজনরা জানান, আমার পিতার শ্বাসকষ্ট, তার ফুসফুসের ৯০ ভাগে সমস্যা দেখা দেয়। এখানে নিয়ে এসেছি, তাকে ইমার্জেন্সিতে রাখা হয়েছে। ডাক্তাররা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন, তারা বলেছেন আউসিইউ দিবেন। আরেকজন জানান, আমরা নরসিংদী থেকে এসেছি। এখানে আমার কাকা ভর্তি অবস্থায় আছেন।
অন্য এক রোগীর স্বজন জানান, আমার বাবা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই তিন দিনে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখানে টাকা-পয়সার কিছু প্রয়োজন হচ্ছে না, তাই এখানে আসা। এখন দেখি কি হয়।
আংশিকভাবে ৫০ শয্যার আইসিইউ, ৫০ শয্যার ইমার্জেন্সি বেড, যা অনেকটা আইসিইউর মতই। এছাড়া হাইফ্লো নাজাল ক্যানোলা, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সব ব্যবস্থা নিয়ে রোগীর সেবা কার্যক্রম চালু করেছে হাসপাতালটি।
ডিএনসিসি কোভিড নাইনটিন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, সবার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রাখছি যে, একেবারেই যাদের শংকটাপন্ন অবস্থা, কোন বেড পাচ্ছে না, বিভিন্নভাবে যারা ঘোড়াঘুড়ি করছে তারা যেন আমাদের এখানটাতে আসেন। আবার যদি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সবাই এখানে চলে আসেন, তাহলে দেখা যাবে অনেকে বেড পাচ্ছেন না। আবার যাদের সংকট নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে, আমার মতে তারা কিন্তু অসুবিধায় পড়ে যাবেন।
১ হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের আইসিইউ বেড থাকবে ২১২টি, এইচডিইউ বেড ২৫০, কোভিড আইসোলেটেড রুম ৫৩৮টি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ২৫০টি বেডের প্রস্তুতি আমাদের আছে। এর মধ্যে ৫০ বেডের আউসিইউ রেডি আছে। এখানে পর্যায়ক্রমে নেয়া হচ্ছে। আর আমাদের ইমার্জেন্সিতেও ৫০টি বেড প্রস্তুত আছে। সবচেয়ে সক্ষম একটি হাসপাতালে পরিণত হবে। প্রতিদিনই আমার কিছু করে ম্যানপাওয়ার আসছে। একদিকে আমার ম্যান পাওয়ার আসবে অন্যদিকে আমার বেডগুলো বাড়তে থাকবে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি এখানে রয়েছে রোগ নির্ণয়ের সকল সুবিধা।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/