চীনের জন্য তেজস্ক্রিয় পদার্থ বহনকারী জাহাজ ফিরিয়ে দিল শ্রীলংকা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার
শ্রীলংকার সীমানায় প্রবেশকারী চীনমুখি একটি জাহাজ বহিঃষ্কার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অ্যান্টিগোয়ায় নিবন্ধিত জাহাজটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বহন করা হচ্ছে তা আগে থেকে অবহিত না করার কারণেই একে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শ্রীলংকার অটোমিক এনার্জি রেগুলেটরি কাউন্সিল জানিয়েছে, চীনের পরিচালিত বন্দর হাম্বানটোটায় মঙ্গলবার রাতে নোঙ্গর করা এমভি বিবিসি নেপলসে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড বহন করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
সংস্থাটির পরিচালক অনিল রণজিৎ এএফপিকে এ প্রসঙ্গে জানান, ‘এটি ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড বহনকারী একটি বিপদজনক কার্গো এ বিষয়ে পূর্ব ঘোষণা দেয়া হয় নি। আর এ কারণে জাহাজটিকে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের জলসীমা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ এ ধরনের উপকরণ বহন সম্পর্কে কোন ঘোষণা না দিয়ে জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করলে তা রীতিমতো অন্যায়। এই উপকরণ মূলত ইউরেনিয়ামকে সমৃদ্ধ করতে, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানী হিসেবে এবং পারমানবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
জাহাজটি রটারডাম থেকে এসেছে তবে এটি চীনের ঠিক কোথায় যাচ্ছে তা কর্তৃপক্ষ জানায় নি। এদিকে শ্রীলংকার বিরোধিদলীয় নেতা সাজিদ প্রিমাদাসা ঘটনাটিকে ভয়াবহ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এর তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণের জন্য নৌবাহিনীকে জাহাজটিতে উঠার অনুমোদন দেয়া হয় নি।’
শ্রীলংকা সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক কোন মন্তব্য করা হয় নি।
উল্লেখ্য, হাম্বানটোটা বন্দরটি নির্মাণের জন্য কলম্বো সরকার বেইজিংয়ের থেকে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে এ ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে ২০১৭ সালে তা চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয় শ্রীলংকা। কলম্বো থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হাম্বানটোটা ভারত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেনগুলোর কাছেই অবস্থিত। ২০১৪ সালে এখানে চীনের দুটি সাবমেরিন প্রবেশ করলে তা প্রতিবেশি ভারত ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারে আঞ্চলিক পরাশক্তিধর দেশদুটোর মধ্যে বহুদিন ধরে প্রতিযোগিতা চলছে। এরপর থেকে চীনের কোন সাবমেরিন প্রবেশের অনুমোতি দেয় না শ্রীলংকা। সূত্র: এএফপি
এসি