ছাত্র আন্দোলন বেগবান করে তোলে একাত্তরের মুক্তির লড়াই
প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৪৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ছাত্ররা। এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চের দিনগুলোতেও সংগঠিত ছাত্র আন্দোলন আরো বেগবান করে তোলে মুক্তির লড়াই। ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠায় সুপরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে, আরো এগিয়ে যায় দেশ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শ্রেণী পেশার মানুষের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ ও ঐক্যের সম্মিলন ঘটলেও আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলো ছাত্ররা।
মার্চের শুরুতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করার পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্ররা। গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পরবর্তী দিনগুলোতে আরো বেগবান হয়ে উঠে ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলন।
১৮ই মার্চ অসহযোগ আন্দোলন ১৬তম দিন। গণ জাগরণের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ।
সেসময় ছাত্ররা আরো সংগঠিতভাবে শুরু করে নানা কার্যক্রম। সব বয়সী মানুষকে মুক্তির চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে মিছিল মিটিং আর সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি নেয় ছাত্রসমাজ। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিরোধের প্রস্ততি চলতে থাকে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে। গোপনে চলতে থাকে মুক্তি যুদ্ধের প্রস্তুতিও।
সে পথ ধরেই জাতি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য।