আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারে সতর্ক অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৯:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২১ শনিবার
যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য ফিরিয়ে নেয়া শুরু করে নি। কিন্তু দেশটিতে ‘বহুবছর ধরে চলমান যুদ্ধের’ সমাপ্তি ঘটার পর কি হবে তা নিয়ে তারা বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এমনকি বিভিন্নভাবে পাওয়া খবরে বোঝা যাচ্ছে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থান নিয়ে এখনো স্পষ্ট কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। গত ১৪ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন আগামি ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিবেন তারা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই শেষ কথা নয়। পেন্টাগনের কমান্ডার ও সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি সিদ্ধান্তটি ‘সংশোধন’ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মন্তব্যের একদিন পর নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পেন্টাগন, আমেরিকান স্পাই এজেন্সি এবং পশ্চিমা মিত্ররা দেশটিকে (আফগানিস্তান) পুনরায় সন্ত্রাসী ঘাঁটি হওয়া থেকে রক্ষা করতে তুলনামূলক কম দৃশ্যমান কিন্তু শক্তিশালী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছেন। সেনাবাহিনীকে কোথায় মোতায়েন করা যায় তা নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করছে পেন্টাগন।’
এই প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয় ন্যাটো আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যহার করে নেয়ার পরেও জোটের সদস্য তুরস্ক ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে এখানে সৈন্য রেখে দিবে।’ পাশাপাশি পেন্টাগনের কিছু ভাড়াটে সৈনিক যেখানে ছয় হাজারের আমেরিকান কর্মী রয়েছেন তারাও এখানে পুনবার্সিত হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরো কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে যা বলা হচ্ছে আফগানিস্তানে এরচেয়েও একহাজার সৈন্য বেশি রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময় ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় এই অপ্রকাশিত সংখ্যার সেনাদের তারা সেখানে রেখে যেতে পারে।
একইদিনে প্রকাশিত নিউ ইয়র্ক টাইমসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কাবুল থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমাদের সব সেনারা ঘরে ফিরে আসলেও আফগানিস্তানে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে।
এসি