ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘বীমা খাত থেকে আসতে পারে বড় অংকের রাজস্ব’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

ব্যাংক খাতকে সরকার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে বীমা খাতকে সেভাবে পরিচালন করতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতির গতি আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সরকার এখাত থেকে বড় অংকের রাজস্ব আয় করতে পারবে। 

বৃহস্পতিবার(২৯ এপ্রিল) বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্সুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) ও মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আয়োজিত বীমা খাতের সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সভাপতি গোলাম মওলা। সংগঠনটির 
 সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত সুমনের সঞ্চালনায় মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিএমডি মো. হাফিজুর রহমান, এফসিএ, এফসিএস, সহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন ও মো. কবির আহমেদ, উর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন দেওয়ান ও মো. গোলাম আল মামুন, উপ মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের মিয়াজী এবং সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদসহ আইআরএফএর সদস্যরা অংশ নেন।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬০টি। আর লাইফ ও নন লাইফ কোম্পানির সংখ্যা ৮০টি। এটি মনিটারিং এর জন্য ছোট একটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আছে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যত বেশি সক্রিয় হবে ততবেশি বীমা কোম্পানিগুলো লাভবান হবে। কিন্তু দু:খের বিষয় বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নিজেই জনবল সংকটে রয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তাই চুক্তিভিক্তিক। তাদের অনেকেরই বীমা খাতের ধারণা নেই।

ব্যাংক সরল অংকে চলে কিন্তু বীমা সরল অংকে চলে না উল্লেখ্য করে, তিনি এখাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বাধ্যবধকতা ছাড়া কেউ নন লাইফ বীমার আওতায় আসতে চায় না। শিল্প-করখানা সহ বড় বড় মার্কেটে বীমা করা নাই। তাদের সম্পদের অবশ্যই বীমা করা উচিত বলে জানান তিনি।  

তিনি আরও বলেন, বীমার আওতায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ৬০ শতাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বীমার বাইরে রয়েছে।  বর্তমানে প্রিমিয়াম আছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এদিকে সরকার বিশেষ গুরত্ব দিলে বীমা কোম্পানিগুলো ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারবে। এতে করে সরকারও বড় রাজস্ব পাবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের এ সিইও বলেন, বীমা দাবি আদায়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান সার্ভে প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আইডিআরএ তে আপিল করতে পারে। 

বীমা খাতে আস্থা সংকট অনেক কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আস্থা সংকট এক সময় ছিল। কিন্তু বর্তমানে আস্থা সংকট তেমন নেই। কোম্পানিগুলো নিয়মিত বীমা দাবি পরিশোধ করছে।  এক সময় বীমার ওপর শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব ছিল কিন্তু এখন এমনটা নেই বলেও জানান তিনি।

আরকে//