জিডিপি অর্জনে আমাদের প্রত্যাশা আরও বেশি: অর্থমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২১ বুধবার
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি (৫.৫ থেকে ৬ শতাংশ) অর্জনের বিষয়ে দেয়া পূর্বাভাসের চেয়েও প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এরা (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) যে পূর্বাভাস দিয়ে আসছে তা আমাদের অর্জনের কাছাকাছি থাকে। যদিও আমাদের প্রত্যাশা আরও বেশি। তবুও এটি যদি আমরা অর্জন করতে পারি তাহলে সাউথ এশিয়া, সাউথ ইস্ট এশিয়ায় সবার ওপরে থাকবে বাংলাদেশ। এটা কিন্তু তাদের বক্তব্য। আমাদের প্রত্যাশা আরও উপরে। সেটা বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তথ্য নিরূপণ করতে পারব না। তারপরও আমি বলব, তারা যা বলেছে সেটাও কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বড় অন্যান্য দেশের তুলনায়।’
সরাসরি পদ্ধতিতে ঔষধ ও পিপিই কেনার অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রস্তাবে খুটিনাটি সব বিষয় দেখে, সকল নিয়ম অনুসরণ করে আমরা প্রস্তাব অনুমোদন করে থাকি। কোনো মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনা দেয়ার পর যদি কোনো ব্যত্যয় থাকে, মিসম্যাচ হয় বা কোয়ালিটি এনশিওর করতে না পারে, সেটা তাদের ব্যাপার। তারপরও আমরা এখান থেকে দেখাশোনা করি। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
এফবিসিসিআই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। আমার কাছে এ ধরনের কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। কেউ দেখাও করেনি, আলোচনাও হয়নি। সুতরাং ব্যাংকের বিষয়ে কী করতে চাচ্ছে সেটা জানি না। যখন আমি জানব, আপনারাও জানবেন।’
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যাচ্ছে না, যেমন নিঝুম দ্বীপ। এখানে সোলার প্ল্যান্ট করা যাচ্ছে না। এটা করতে গেলে যে পরিমাণ জায়গা দরকার তা আমাদের সেখানে নেই। সেজন্যই জেনারেলি আমরা যা বলেছি সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু বিশেষ বিবেচনায় আমাদের সেখানে কিছু সোলার দিতে হবে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলারে জানিয়েছে, নতুন পূর্ত এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। কিন্তু আজ বেশ কয়েকটি পূর্ত নির্মাণ কাজ অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ত ও নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত সার্কুলারটি আমি দেখিনি। আমি অবশ্যই এটি দেখব। তবে আমার অনুমোদন ছাড়া সার্কুলার দিতে পারে না। আমার মনে হয় এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝি আছে। এ ধরনের কোনো সার্কুলার আমি এখনও পাইনি।’
আরকে//