চামড়া খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রণোদনার দাবি (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান
প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার
দেশে এসএমই খাতের আওতাভুক্ত প্রায় ২৬০টি চামড়াজাত পণ্যের কারখানা রয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাবে প্রায় অর্ধশত কারখানার উৎপাদন এখন বন্ধ। এছাড়া অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ৭ শতাংশের বেশি। আর ভোক্তা-চাহিদা কমায় কিছুটা সংকুচিত স্থানীয় বাজারও। এমন পরিস্থিতিতে আরেকটি আর্থিক প্রণোদনার দাবি এ খাতের উদ্যোক্তাদের।
রেজভিন হাফিজ। চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে এসএমই খাতে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু বৈশ্বিক করোনার প্রভাবে কিছুটা খারাপ সময় পার করছেন তিনি। রপ্তানির আদেশ কমেছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদাও কম। তবুও সুদিনের আশায় সচল রেখেছেন কারখানা।
পিপলস ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজভিন হাফিজ বলেন, কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু সে চেষ্টা কতটুকু করে পারা যায়, সে জায়গা একজন উদ্যোগতা হিসেবে বুঝতে পারছি না।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি বলছে, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চামড়া রপ্তানি কমেছে ৬.২৪ শতাংশ। আর ৭.০৩ শতাংশ কমে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয়। তবে এ সময়ে পাদুকা রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দীর্ঘস্থায়ী হলে এখাতের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলে শঙ্কা উদ্যোক্তাদের।
এলএফএমইএবি সভাপতি ২০২০ সালে আমাদের এক্সপোর্ট ড্রপ করেছিল ২৫ শতাংশ। এখন ২০২১ সালে আমরা যেটা দেখছি, তাহলো ৭ শতাংশ রফতানি কমেছে। এই সময়ে ছোট ও মধ্যমসারির ৪৬টি কারখানা তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
ঝুঁকি মোকাবেলায় নতুন আরেকটি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের দাবি চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্টদের।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, গতবছর যেরকম ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল সেরকমই যদি এবছর দেওয়া হয় সেটা আমাদের জন্য ভাল হবে।
রেজভিন হাফিজ বলেন, বিশেষ কোন ভতুর্কির ব্যবস্থা করে এবারও যদি আমাদেরকে সহয়তা করা যায়, সেক্ষেত্রে হয়তো বা আবারও আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে চলতি অর্থবছরে ৯২ কোটি মার্কিন ডলার আয় করতে চায় সরকার।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/