মাকে হত্যার পর গোপনে কবর দেওয়ার চেষ্টা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার
নওগাঁর আত্রাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মা জাহিদা বেওয়া (৬০) কে শীলপাটা দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর গোপনে কবর দেওয়ার সময় ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়ায় গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২) ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। নিহত জাহিদা দিঘা গ্রামের মৃত হারান প্রামানিকের স্ত্রী।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার ভোর রাতে তাদের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এমতাবস্তায় মা জাহিদাকে শীলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তারই ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)। এতে ঘটনাস্থালেই তিনি মারা যান। এরপর কাউকে না জানিয়ে মা জাহিদা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন ছেলে।
এসময় নিজ আত্মীয়দের ছাড়া স্থানীয়দের মরদেহ দেখতেও দেয়নি। এদিকে জাহিদুল ইসলাম তার মাকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। জাহিদুলের চলাফেরা ও কথোকথনে প্রতিবেশিদের সন্দেহ দেখা দেয়। প্রতিবেশিরা জোর করে জাহিদার মরদেহ দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। ঘটনাটি জানতে পেরে থানায় সংবাদ দেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন শীলপাটা দিয়ে আঘাত করার কথা স্বীকার করেন। এঘটনায় ছেলে ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
কেআই//