এবারও কর্মচাঞ্চল্য নেই দর্জিপাড়ায় (ভিডিও)
শাকেরা আরজু
প্রকাশিত : ১০:৫৪ এএম, ১ মে ২০২১ শনিবার
ঈদ আসলেও এবারও খুশীর আমেজ নেই রাজধানীর দর্জিপাড়ায়। কাজের অর্ডার নেই, নেই রাত জেগে কাজ শেষ করার তাড়া। করোনায় গত একবছরে দোকান আর ঘর ভাড়া দিতে গিয়ে অনেকে ঋণে জড়িয়েছেন। বেতন দিতে না পারায় কর্মচারী ছাটাঁই করে একা হাতেই ব্যবসা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। তাদের আশা, একদিন ভালো সময় আসবে।
সুই সুতার কাজ আর চিরচেনা মেশিনের শব্দ নেই দর্জির দোকানে। রমজান মাসের শেষ সপ্তাহেও ব্যস্ততা নেই। ঈদে বাহারী পোষাক বানানোর তাড়া আর আসে না ক্রেতার কাছ থেকে। বিষণ্নতার ছাঁয়া কারিগরদের চোখে মুখে।
রোজার শুরু কয়েকদিনের মধ্যেই যেখানে নুতন পোষাক বানানোর অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে যেতো। চলতো সারারাত জেগে কাজ। করোনার এই সময়ে কাজই নেই তাদের।
তারা জানান, অন্য সময় অনেক চাপ থাকতো, বর্তমানে বলতে গেলে কোন কাজই নেই। এক মালিক জানালেন, এবছর বোনাস তো দিতে পারবোই না, বেতন দেয়াই কষ্ট হয়ে যাবে।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর একবছরে দোকানভাড়া আর ঘর ভাড়া দিতে গিয়ে কেউ কেউ ঋণের জালে জড়িয়েছেন। কেউ কেউ পোষাক সেলাইয়ের পাশাপাশি দর্জিঘরকে দোকানে রূপান্তর করেছেন।
দোকান মালিকরা জানান, দোকানের ভাড়া বাবদ ১ লাখ ১২ হাজার টাকা বাড়িওয়ালা পাবে। কাজ নেই তাই অনেক মেশিন বিক্রি করে দিয়েছি। মাস্টার ছিল ৪-৫ জন, এখন আমি নিজেই করি। অন্য আরেকজন জানান, গতবছর কিছু ঋণ করেছিলাম, সেই ঋণের কিস্তিগুলো এখনও শোধ করতে পারিনি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা এখন অনেক কষ্টেই আছি।
কর্মী ছাটাই করে ১ জন সহকারি নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন অনেক দর্জি। এক মালিক জানালেন, ইতিমধ্যে ২ জন কর্মচারী না করে দিয়েছি, যারা আছে তাদের কিছু কিছু কাজ চলছে।
তারপরও আশা জেগে থাকে। মেশিনের শব্দে আবার মুখর হবে দর্জিবাড়ি, এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন অনেকে।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/