ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় সর্বাধিক মৃত্যু এপ্রিলে

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১ মে ২০২১ শনিবার

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এযাবৎকালের সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত এপ্রিল মাসে। গত মাসে করোনায় মোট দুই হাজার ৪০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এক মাসে সর্বাধিক মৃত্যু ছিল গত বছরের জুলাইয়ে, এক হাজার ২৬৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত বছরের মার্চে ৫ জন, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে’তে ৪৮২ জন, জুনে এক হাজার ১৯৭ জন, জুলাইয়ে এক হাজার ২৬৪ জন, আগস্টে এক হাজার ১৭০ জন, সেপ্টেম্বরে ৯৭০ জন, অক্টোবরে ৬৭২ জন, নভেম্বরে ৭২১ জন, ডিসেম্বরে ৯১৫ জন মারা যান। এই বছরের জানুয়ারিতে মৃত্যু ২৮১, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১, মার্চে ৬৩৮ এবং এপ্রিলে সর্বাধিক দুই হাজার ৪০৪ জনের।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আজ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫১০ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৪টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৬২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৮২১টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১১৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮২১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ জন। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৫ জন করে ১০ জন। রংপুর বিভাগে ২ জন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২০ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪১৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৭২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৩ হাজার ২৮৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৬৮৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৫৯৪ জন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

আরকে//