রাজউক জমি বরাদ্দ দিলেও তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ কর্মচারিরা
প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ১০ জুন ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ১০ জুন ২০১৭ শনিবার
কর্মচারিদের কল্যাণে সমবায় সমিতি ও কল্যাণ ট্রাস্টের নামে রাজউক কয়েক বিঘা জমি বরাদ্দ দিলেও তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ কর্মচারিরা। অধিকাংশ জমি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আব্দুল মালেক ও শামসুল আলম মিল্কি নামে সংগঠন দু’টির দুই নেতা। এছাড়া, জমির উপর মার্কেট বানিয়ে সেই ভাড়াও তুলছেন তারা। এভাবেই সংগঠনের কয়েকজন নেতা গড়েছেন সম্পদের পাহাড়; আর বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ সদস্যরা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকের কর্মচারিদের কল্যাণে গঠন করা হয় রাজউক কর্মচারি বহুমুখী সমবায় সমিতি এবং রাজউক কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্ট।
পরে ওই দুই সমিতির নামে খিলক্ষেত ও উত্তরায় কয়েক বিঘা জমি বরাদ্দ নেয়া হয়। তবে, কল্যাণ ট্রাস্টের নামে বরাদ্দ করা জায়গা দিয়ে কর্মচারিদের কোন কল্যাণ হয়নি। ওই জমি বিক্রি করে দিয়েছেন সংগঠনের এক সময়ের সেক্রেটারি শামসুল আলম মিল্কি।
এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে তিন তারকা হোটেল। বহুতল হোটেল ভবনের এক পাশে পাঁচ তলা পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছে রাজউক ট্রেড সেন্টার বা শপিং মল। দোকানগুলোর পজেশনও বিক্রি করা হয়েছে।
আর সংগঠনের টাকা আত্মসাৎ করে দ্রুত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন
শামসুল আলম মিল্কি। রাজধানীর উত্তরায় ৯ নম্বর সেক্টরে লেকের পাড়ে পাঁচ কাঠা জমির উপর ৯ তলার দৃষ্টিনন্দন বাড়ী গড়ে তুলেছেন তিনি। এছাড়াও রয়েছে একাধিক প্লট, বিলাসবহুল গাড়ী।
ট্রাস্টের সম্পত্তি জালিয়াতি আর অবৈধ সম্পদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে সময় চান তিনি।
আর বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দ নেয়া হলেও বঞ্চিত হয়েছেন সাধারণ কর্মচারিরা। তিন দফায় প্রায় সাত বিঘা জমি বরাদ্দ নেয়া হলেও তা ভাগ বন্টন করে খাচ্ছেন নেতারা। সাধারণ সদস্যদের ভাগ্যের পরিবর্তন না হলেও হয়েছে সভাপতি আব্দুল মালেকের।
রাজধানীতে বাড়ী, গাড়ী- সবই আছে তার।
এ’সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আব্দুল মালেক বলেন, তার বিরুদ্ধে এ’ধরণের অনেক অভিযোগ রয়েছে। রিপোর্ট করে তার কিছুই করা যাবে না।
দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
সরকারি কর্মচারি কিভাবে এত সম্পদের মালিক হন, সেই প্রশ্ন সবার।