নিষ্ক্রিয় করা হলো রাবিতে উদ্ধার হওয়া ৪ বোমা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৭ পিএম, ১ মে ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১১:৪০ পিএম, ১ মে ২০২১ শনিবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ধার চারটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের ফাঁকা জায়গায় বোমাগুলো নিয়ে যায় বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের বোমা বিশেষজ্ঞ টিম। পরে সেখানে বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এ সময় বিকট শব্দে বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান রাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।
তিনি জানান, শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে পাশের বধ্যভূমি এলাকার একটি খনন কাজ চলা পুকুর থেকে দুইটি মর্টার শেল, একটি রকেট লঞ্চার ও একটি ল্যান্ডমাইন উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ বোমাগুলো নিস্কৃয় করার জন্য সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে খবর দেয়।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল একই জায়গায় একটি মর্টার শেল পাওয়া যায়। পরদিন সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করে। বিকট শব্দে সেটিও বিস্ফোরণ ঘটে।
জানা গেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা দখল করে এটিকে ক্যান্টনম্যান্ট বানিয়েছিলো। জোহা হল থেকেই তারা রাজশাহী অঞ্চলের নিরীহ বাঙালিদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতো। এমনকি জোহা হলে নিরীহ রাজশাহীবাসীকে ধরে এনে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করতো।
এছাড়া এই অঞ্চলের কিশোরী ও নারীদেরকেও ধরে এনে সম্ভ্রম হানি করে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতো। যুদ্ধের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা চলে যাওয়ার সময় জোহা হলের পাশের পুকুরে ব্যাংক থেকে লুণ্ঠিত টাকা-পয়সা এবং মর্টার শেল ও রকেট লঞ্চারসহ বেশকিছু বোমা ফেলে যায়।
রাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুকুরে বা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হয়তো এসব মর্টারশেল বা রকেট লাঞ্চার আরও রয়েছে। এগুলোর দ্বারা মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এর স্থায়ী একটি সমাধানের জন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তারা লিখিতভাবে সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি দরখাস্ত দিতে বলেছেন। আমরা সেটি দিবো।
কেআই//