ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:১৭ এএম, ২ মে ২০২১ রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সদর-৩ আসনের সাংসদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ’ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

শনিবার (১ মে) রাতে সদর মডেল থানায় এমপির পক্ষে তার আইনজীবী ও শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার মামুন মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার উল্লেখিত প্রধান দুই আসামি ছাড়াও ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা হলেন- মাওলানা আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনায়ে কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, মাওলানা এনামুল হক মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ। এছাড়া আরও অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। 

আরও বলা হয়, তারা তাণ্ডব চালিয়ে বৈধ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র, গান পাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করেন। এর আগে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে সাইবার সন্ত্রাস সংগঠিত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক, বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস প্রদান করে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এএইচ/