ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নাটোর ডিসির উদ্যোগে সহনীয় দামে তরমুজ বিক্রি

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২ মে ২০২১ রবিবার

নাটোরে তরমুজের ঊর্ধ্বমুখী দর রোধ করা এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি তরমুজ কিনে সহনীয় দামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রোববার (২ মে) জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শহরের কানাইখালী এলাকায় কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সামনে এই তরমুজ বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ এই তরমুজ বিক্রয় কেন্দ্রের  আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের আবশ্যকীয় ফল হিসেবে তরমুজের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী দর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরও এই ধারা অব্যাহত থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জেলায় উৎপাদিত তরমুজ সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ক্রেতা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে এর বাস্তবায়ন করা হলো। 

তিনি আরও বলেন, এর ফলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন এবং ক্রেতারাও তুলনামূলক কম দামে এই মৌসুমী ফলের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। আকার ভেদে সর্বনিম্ন ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে কৃষকরা সরাসরি এখান থেকে তরমুজ বিক্রি করবেন। আমরা আশা করি, ন্যায্যমূল্যে এই তরমুজের বিপনন কার্যক্রম চালু করায় অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি বন্ধ হবে এবং তরমুজের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাদিম সারোয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি সহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, জেলায় চলতি মৌসুমে ৮৬৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫শ’ টন।

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) জুয়েল আহমেদ জানান, প্রথম দিনে মোট চার টন ওজনের ৮০০ পিস তরমুজ বিক্রি করা হয়। পাঁচ কেজি পর্যন্ত এক একটি তরমুজ ৩৫ টাকা কেজি দরে এবং পাঁচ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। 

ক্রেতার চাহিদা বিবেচনায় প্রতিদিনের তরমুজ বিক্রয়ের পরিমাণ প্রয়োজনে বাড়বে। গোটা রমজান মাস জুড়ে এই বিপনন কেন্দ্র চালু থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এএইচ/