ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মহামারিকালে প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ৩ মে ২০২১ সোমবার

করোনাভাইরাস সংকটে দেশের জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় ও তার অধীন বিভিন্ন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দপ্তরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

করোনাভাইরাসের মহামারী পরিস্থিতিতেও হাঁস-মুরগি (লাইভ), গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরণের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহণ ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এতে একদিকে খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণনজনিত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দু’টি কন্ট্রোল রুম কাজ করেছে।

সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গতকাল দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০ টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০১ টি ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মে. টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকী ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করছেন।

এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।

এসি