আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:৩৪ এএম, ৭ মে ২০২১ শুক্রবার
আহসান উল্লাহ মাস্টার
গাজীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ইফতার ও তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা এবং স্মরণিকা প্রকাশ।
এছাড়া এ উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ ৬ মে সকাল সাড়ে ১০টায় ’সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক অলোচনা সভার আয়োজন করেছে। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ প্রয়াতের ১৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মরণিকা ও সংবাদপত্রে বিশেষ নিবন্ধসহ সংখ্যা প্রকাশ করবে।
এই উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ), গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জিইউজে), ভাওয়াল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ভাওয়াল আইডিয়াল একাডেমী, হায়দরাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও ভাওয়াল শিশু কিশোর ফোরামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিধি মেনে মরহুমের কবরে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর- ২ (গাজীপুর সদর–টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যান। এছাড়া শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।
গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের সময় টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
এই হত্যাকাণ্ডের পর তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ অপর ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেয়া রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেয়া হয়।
এ হত্যা মামলাটি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের করা আলাদা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) শুনানি এখনও বিচারাধীন।
এনএস/