ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

টিকটক ও লাইকিতে ছবি পোস্ট করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৫ এএম, ৯ মে ২০২১ রবিবার | আপডেট: ১২:১২ এএম, ৯ মে ২০২১ রবিবার

বাগেরহাটে টিকটক ও লাইকি এ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। তার নাম সোমা আক্তার (১৯)। শনিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরে দশানী উত্তরপাড়া এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। 

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘাতক স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত (২৩) বাগেরহাট মডেল থানায় আত্মসমর্পন করেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

হত্যার শিকার সোমা আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। সে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আত্মসমর্পণকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত  দশানী উত্তরপাড়া এলাকার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে। সে ঢাকায় একটি বাইয়িং হাউসে কাজ করত। প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১৯ সালে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়েছিল।

আত্মসমর্পণকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্তোর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়,  লাইকি এ্যাপস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমার এ্যাকাউন্ট ছিল। সোমা সেসব এ্যাকউন্টে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করত। এসব নিয়ে স্বামী নাইমের সাথে তার ঝামেলা ছিল। শনিবার ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করে। বিকেল তিনটার দিকে দশানীস্থ নাইমের বাড়িতে আসে সোমা। সেখানে সন্ধ্যার দিকে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সোমাকে হত্যা করে নাইম। নাইমের বাবা-মা ঢাকায় থাকায় বাড়িতে শুধু তারা দুজন ছিল। সোমা পরকিয়া পুলিশের কাছে এমন অভিযোগও করেছে তার স্বামী।

সোমার ভাই রাসেল জানান, ছেলে বেকার কিছু করতো না। আমার বোনকে ভরণপোষণ দিতো না। এসব নিয়ে সংসারে ঝামেলা লেগে থাকতো। এই কারণেও হত্যা হতে পারে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। হত্যাকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। সে হত্যার দায় ও কারণ পুলিশকে জানিয়েছে। এসপরেও হত্যার সাথে অন্য কোন বিষয় জড়িত আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
কেআই//