ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান
প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ১০ মে ২০২১ সোমবার
সরকারের পরিকল্পনার সাথে বেসরকারি খাতের সুসমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চান এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তবে করোনার প্রভাব মোকাবেলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি। জোর দিতে চান গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক কর্মসূচির ওপরও। আর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা, বিশেষ করে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেন সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা।
বৈশ্বিক করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর বড় চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে।
তবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সুসমন্বয় চান নবনির্বাচিত সভাপতি। এজন্য বিদ্যমান নীতিসহায়তা অব্যাহত রাখার দাবি তাঁর।
এফবিসিসিআই’র নবনির্বাচিত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারের প্ল্যান-প্রোগ্রাম বা উন্নয়নের যে পরিকল্পনা থাকে এগুলো কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলোকেই বাস্তবায়ন করতে হয়। কি ধরনের পলিসিগুলো হওয়া উচিত সেগুলোর সাথে আমার মনে হয় স্টেকহোল্ডার যারা সরকারের পলিসি লেবেলের স্টেকহোল্ডারদের রিপ্রেজেনটিভ হিসেবে কাজ করা।
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রয়োজন পর্যাপ্ত গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক কর্মসূচি। তাই এদিকে বাড়তি মনোযোগ দেয়া হবে বলে জানালেন এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি।
সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কাজ করা দরকার রিসার্চ বেইজ, নলেজ বেইজ একটা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। যেই জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি।
এদিকে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য দেয়া আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাদের। ব্যবসা সহজীকরণেও কাজ করার কথা বললেন তারা।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রণোদনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা। ব্যাংক ঋণের আরেকটু সহজীকরণ করতে হবে। প্রত্যেকটি সেক্টরের জন্য অনস্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, স্বাভাবিক অবস্থাতে ফেরত আসা পর্যন্ত সেখানে এফবিবিসিআই’র নেতৃত্ব সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যেতে হবে। যেখানে প্রণোদনা প্রয়োজন, যেখানে স্টিমুলাস প্যাকেজের একটি অংশ দিলে একটা সেক্টর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা।
প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় চেম্বার ও এসোসিয়েশন গ্রুপের মোট ৪৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এফবিসিসিআইয়ের নতুন পর্ষদ গঠনে এবারও নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/