ওপারে লকডাউন, বেনাপোলে যাত্রী চলাচল কম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৮ পিএম, ১৬ মে ২০২১ রবিবার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টানা ১৫ দিনের লকডাউন রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। এই লকডাউন থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। স্বাভাবিক রয়েছে হাইকমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে যাত্রী চলাচল। তবে দু’দেশে লকডাউন থাকার কারণে যাত্রী চলাচল কম। ভারতে লকডাউনে স্কুল-কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট, সরকারী বেসরকারী অফিস বন্ধ থাকলেও দু‘দেশের বাণিজ্যের স্বার্থে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোষ্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল সীমান্ত আগে থেকেই লকডাউন রয়েছে। তারপরও হাইকমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে দু’দেশে আটকে পড়া যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আজ থেকে লকডাউনের কারণে যাত্রী চলাচল অনেক কম। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের এনওসি নিয়ে ৫ জন যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে ভারতফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা আর না থাকায় বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরার দূতাবাসের ছাড়পত্র সাময়িক ভাবে কমিয়ে দেওয়ায় জরুরি রোগী ছাড়া কাউকে অনুমতি দিচ্ছে না। এতদিন বেনাপোল ছাড়াও বুড়িমারী ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ফিরতে পারতেন। ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের অবস্থা বিবেচনা করে আরো তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্থলবন্দর তিনটি হচ্ছে,দর্শনা, হিলি ও সোনা মসজিদ।
রোববার (১৬ মে) থেকে এই তিনটি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরতে পারবেন বাংলাদেশিরা। বুধবার (১২ মে) এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ঈদের ছুটির পর দূতাবাসের ছাড়পত্র না পাওয়ায় ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা এসব চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না।
ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারন করায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন দিয়েছেন। টানা এ লকডাউনে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধসহ স্কুল কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট, সরকারী বেসরকারী অফিস বন্ধ থাকলেও বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দু’দেশের বাণিজ্য সচল রাখা হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, সরকার দ্বিতীয় দফা সীমান্তে লকডাউন দেয়ার সময় বলেছিলেন সীমান্তে লকডাউন থাকলেও দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে। আজ ১৬ মে থেকে ৩০মে পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার টানা ১৫ দিনের লকডাউন দিলেও বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দর ও কাস্টমস হাউজ স্বাভাবিক থাকবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থবিধি মেনে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য লোড-আনলোডসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
কেআই//