হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে ফিরলেন ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ১৯ মে ২০২১ বুধবার
ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা জটিলতা কাটিয়ে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। নারী-পুরুষ-শিশুসহ ৩৭ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে অসুস্থ্য হওয়ায় রংপুরে ৪ জন ও দিনাজপুরে ৪ জনকে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের এনওসি এবং করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে তারা দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেন।
এসময় সীমান্তের শূন্যরেখায় পুলিশ, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন তাদের রিসিভ করে নির্ধারিত তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এর পরে সেখান থেকে তাদেরকে ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে স্বাস্থ্য চেকআপ ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম, পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত এবং ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ফেরা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা জানান, বিমান যোগে বা সড়কপথে বিভিন্ন ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে তারা ভারতের চেন্নাই ও বেঙ্গালুরে চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় তারা দেশে প্রবেশ করতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকেই দু’মাস ধরে ভারতে আটকা ছিলেন।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে থেকে দেশে ফেরার জন্য এনওসি পাওয়ার পর সেখানে দু’দফা করোনা টেস্ট করে তারপরে আমরা ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আসি। কিন্তু সেখানে অনুমতি না দেওয়ার কারণে গত তিন দিন ধরে আমরা দেশে প্রবেশ করতে পারিনি। আজ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ায় হিলি দিয়ে দেশে ফিরলাম।
তাদের মতো আরও ৩শ’ জনকে এনওসি ইস্যু করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি সেকেন্দার আলী জানান, করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ভারতে আটকে পড়া যাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে গত ১৬ মে থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের কার্যক্রম চালু হয়। তবে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন না পাওয়ায় গত তিন দিন ধরে চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী আগমন-বহির্গমন শুরু হয়নি। তবে আজ বুধবার দুপুর থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত থেকে যাত্রী আগমন-বহির্গমন শুরু হয়েছে। সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে রিসিভ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ভারতে যত বাংলাদেশী আটকা আছে অনুমোদন স্বাপেক্ষে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, আগমকারীদের পাসপোর্ট জমা নেওয়াসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনার এন্টিজেন টেস্টসহ সকল দফতরের কার্যক্রম সম্পন্ন করে যারা নন-কোভিড তাদেরকে নির্ধারিত স্থানীয় ৩টি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। আর যারা অসুস্থ্য তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও যদি কেউ কোভিড পজেটিভ হন তাদেরকে নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হবে।
এএইচ/