লাশের বস্তার সূত্র ধরে খুনের রহস্য উদঘাটন!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ১৯ মে ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৬:৫৫ পিএম, ১৯ মে ২০২১ বুধবার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনা ছড়ার একটি ব্রীজের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি অজ্ঞাত নারীর পরিচয় মিলেছে। এঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তার স্বামী মসুদ মিয়াকে(৬২)। মসুদ মিয়ার বাড়ি শ্রীমঙ্গল আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগরে।
বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে এক প্রেস বিফিং-এ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান,বস্তাবন্দি লাশের
বস্তার সূত্রধরে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ খোঁজে পায় তার স্বামীকে। আটকের পর সে স্বীকার করে তার চতুর্থ স্ত্রী ডলি আক্তারের লাশ বস্তায় ভরে
সিন্দুরখান উদনাছড়ায় ফেলে আসে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানাতে পেরেছেন ওড়না দিয়ে গলা পেছিয়ে রোববার শেষ রাতে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করা
হয়। এর একদিন পর সোমবার রাত ৯টার দিকে একটি সিএনজি যোগে নিয়ে গিয়ে উদনার পাড়ে ফেলে আসে তাকে। মঙ্গলবার সকালে
সেখান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ডলি আক্তারের বাবার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায় বদনপুরে। তার পিতার নাম মৃত-ফেলু মন্ডল। ৭/৮ মাস আগে মসুদ মিয়া ডলিকে
বিয়ে করে বলে জানায় ধৃত মসুদ।
শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক জানান, উদ্ধার হওয়া বস্তায় লিখা ছিলো ‘অনিক শ্রীমঙ্গল’। পরে শ্রীমঙ্গলের অনিককে খোঁজে
বের করেন তারা। অনিক মিয়া বস্তা ক্রয়কারী মসুদের সন্ধান দেয়। পরে যে সিএনজি করে লাশ উদনার পাড় নিয়ে যায় খোঁজে বের করা
হয় সিএনজি চালক বেলাল মিয়াকে।
বেলাল মিয়া জানায়, গরুর বাচ্চা মারা গেছে দূরে ফেলতে হবে বলে তাকে ভাড়া নেয় মসুদ মিয়া। এঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেআই//