ঈদের পর ধরলা সেতুতে বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ২০ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার
ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রাম শহরের উপকন্ঠে ধরলা সেতুপাড় এলাকা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন নিজ জেলায়। এসব মানুষ ঈদের আনন্দে ঘুরতে এসেছেন এ ধরলা সেতুপাড়ে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জেলার বিনোদনপ্রেমী মানুষজন ধরলা নদীর সেতুপাড়ে ঈদের আগের দিন থেকে ভিড় করতে থাকেন। ঈদ পেরিয়ে গেলেও সেতুপাড়ে জনসমাগম কমেনি। এ এলাকায় এখনও মানুষ গাদাগাদি করে ঘোরাফেরা করছেন। ঈদের ষষ্ঠ দিন পাড় হলেও জনসাধারণের কোন কমতি নেই।
কুড়িগ্রামে নেই কোন পার্ক কিংবা পর্যটন কেন্দ্র। ধরলা নদীর উপর নির্মিত এই সেতুই জেলাবাসীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। সেতুর দু’পাড়ে গ্রোয়েন এবং তার আশপাশে বিভিন্ন উৎসবে আনন্দ করতে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের লকডাউন উপেক্ষা করে এখনও চলছে শত শত মানুষের ঢল। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই কারোর মধ্যে।
সেতু পাড়ে ঘুরতে আসা মোহাম্মদ আলী ভুট্টা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ। বাচ্চারা করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে থেকে হাফিয়ে উঠেছে। তাদের আনন্দের কথা বিবেচনা করে ধরলা সেতুপাড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছি। অপরদিকে কলেজ শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার জানায়, মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা বেড়াতে এসেছি।
পুলিশের টহল থাকলেও থেমে নেই মানুষের আসা-যাওয়া। ধরলা সেতু পাড়ে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক জানান, জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ধরলা সেতু পাড়ে ঈদের দিন থেকে শত শত মানুষকে সামাল দিতে হচ্ছে। অনেকে মাস্ক না পরে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণ করে আসার চেষ্টা করছেন, তাদের প্রতিহত করতে আমরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করছি। তবে এসব মানুষের উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গণজমায়েত বন্ধ করতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করলেও ঘুরতে আসা অধিকাংশদের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। গাদাগাদি করে হৈ-হুল্লুর করে ঘুরছেন সবাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন, যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তারা রয়েছেন হুমকিতে। ধরলা সেতু এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে। উপস্থিত জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলছে পুলিশ।
ঝুঁকি রক্ষায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উচিত ঈদ উদযাপন করা। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা সংশ্লিষ্ট সব মহলের।
এএইচ/