ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

দেবিদ্বারে সাতগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ভীড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ২১ মে ২০২১ শুক্রবার

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদটিতে কারুকাজ করা হয়েছে মোগল, তুর্কি ও পারস্যের সংমিশ্রণে। নির্মাণে ইট, বালু, সিমেন্টের পাশাপাশি চীনামাটি ও টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে গুণাইঘর গ্রামে নান্দনিক মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ভিড় জমায়। অনেকে এখানে আসে জুমার নামাজ পড়তে।

২০০২ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৫ সালে উদ্বোধন হয়। সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সী মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির স্থপতি শিল্পী শাহিন মালিক। ক্যালিগ্রাফি, কারুকাজ ও নকশার শিল্পী বশির মেসবাহ। 

মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটিসূত্র জানান, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট, প্রস্থ ৩৬ ফুট। সাতটি গম্বুজ, চারটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৮০ ফুট। ভিতরে রয়েছে ঝাড়বাতি।

মসজিদের ভিতরে শতাধিক আর বারান্দায় ২ শতাধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের সামনে আরও ৫ শতাধিক মুসল্লির নামাজ পড়ার সুযোগ রয়েছে। মসজিদের ওপর বিভিন্ন আলোকসজ্জা রয়েছে, যা দূর থেকে নজর কাড়ে। মসজিদে লেখা ‘আল্লাহ’ শব্দটি রাতের বেলা জ্বলতে থাকে। মসজিদটির সঙ্গে ফুলের বাগান রয়েছে। ভিতরে ও বাইরে অসংখ্য চাঁদ ও তারা আঁকা। এখানে বাংলায় আটটি ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। আরবিতে লেখা রয়েছে কোরআনের চার কুল। মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ৩৫০ মণ চীনামাটির টুকরো ও ২৫০টি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শেষ বিকালের আলো নান্দনিক মসজিদটির পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে ছড়িয়ে আছে। সূর্যের আলো পড়ে শুভ্র রঙের মসজিদ ঝলমল করছে।

পাশের উপজেলা মুরাদনগর থেকে মোক্তার হোসেন এসেছেন পরিবার নিয়ে। তারা ঘুরে ঘুরে মসজিদ দেখছেন। তিনি বলেন, গ্রামে এত সুন্দর মসজিদ নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। 

মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী বলেন, বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদটি নির্মাণশৈলীর দিক থেকে দেশের মধ্যে অন্যতম। মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসে। বিশেষ করে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মুসল্লি জুমার নামাজ পড়তে আসেন।
সূত্র : বাসস
এসএ/