ফিলিস্তিন প্রশ্নে মার্কিন ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ২২ মে ২০২১ শনিবার
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্ম এখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে অনেক সহানুভূতিশীল। এই পরিবর্তনের প্রতিফলন পড়ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে। ‘এই পরিবর্তন নাটকীয়, গভীর পরিবর্তন’ বলেন আমেরিকার প্রখ্যাত জনমত জরিপকারী জন যগবি। যিনি গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে জনমতের ওপর নজর রাখছেন। এ খবর বিবিসি বাংলা’র।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেছেন, বার বার তিনি বলেছেন আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। কিন্তু দলের ভেতর তিনি বেশ বেকায়দায় পড়ছেন। কারণ ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন গাজা এবং পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনদের অবস্থা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ডেমোক্র্যাট দলে যে পরিবর্তন, তার কারণ খুঁজতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের দিকে তাকাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনসভায় ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি প্রায় একতরফা সমর্থন দেখা গেছে। এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল প্রভাবশালী ইহুদি ভোট যেটি ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায় যারা কট্টর ইসরায়েলপন্থী, তারা রিপাবলিকানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাংক। এই দুই ভোট ব্যাংকের বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ব্যাপারে ইসরায়েলিকে সবসময় সমর্থন জানিয়েছে আসছে কংগ্রেস। আমেরিকার বিদেশ নীতিতে সেটাই প্রতিফলিত হয়ে আসছে।
কিন্তু কংগ্রেসের ভেতর দিনকে দিন বৈচিত্র্য আসছে, আর সেই সাথে ইসরায়েলের প্রশ্নে আমেরিকার প্রচলিত নীতি চাপের মধ্যে পড়েছে। জরিপ সংস্থা পিউ ফাউন্ডেশন স্টাডি বলছে, ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে নির্বাচিত সদস্যদের ২৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, হিসপানিক, এশীয় এবং আদি আমেরিকান বংশোদ্ভূত। এটি একটি রেকর্ড। বিশ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। ১৯৪৫ সালে ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
আইন সভায় প্রতিনিধিত্বে এই বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন ইস্যুতে মতামতের ভিন্নতা বাড়ছে এবং ক্ষমতা ও প্রভাবের ভরকেন্দ্র পাল্টে যাচ্ছে।
কংগ্রেসে তরুণ, প্রগতিশীল কয়েকজন সদস্যের একটি জোট রয়েছে, যেটি স্কোয়াড নামে পরিচিতি পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব এবং মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর। এই স্কোয়াডের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত আলেকজান্ডার ওকাসিও কর্টেজ। যিনি প্রাইমারিতে সিনিয়র ডেমোক্র্যাট জো ক্রাউলিকে হারিয়ে দলের টিকেট পেয়ে জিতেছেন।
জো ক্রাউলি ছিলেন ইসরায়েলের কড়া একজন সমর্থক। ফলে, এখন নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাটদের ভোটারদের যে প্রোফাইল তার সাথে ৩১ বছরের পোর্টো-রিকান বংশোদ্ভূত ওকাসিও-কর্টেজ ৫৯ বছরের ক্রাউলির চেয়ে অনেক বেশি খাপ খান।
জন যগবি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় অশ্বেতাঙ্গ রয়েছেন, যারা অন্য অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি আচরণ নিয়ে অনেক বেশি স্পর্শকাতর। তারা ইসরায়েলকে একটি আগ্রাসী শক্তি হিসাবে দেখে। তারা ইসরায়েলের শুরুর দিকের ইতিহাস তেমন জানে না, কিভাবে এই রাষ্ট্র নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে গেছে তারা তা জানে না।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রজন্ম ইনতিফাদা পরবর্তী পরিস্থিতি জানে। তারা দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধের কথা জানে, তারা ইসরায়েলি বোমা হামলা দেখছে এবং নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু দেখছে।’
বার্নি স্যান্ডার্স ফ্যাক্টর
কংগ্রেসে এই যে বৈচিত্র্য তার পেছনে প্রধান যে কারণ তা হলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রগতিশীল বাম-ধারার একটি সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলন। যার পরিণতিতে ওকাসিও কর্টেজের মত রাজনীতিক নির্বাচিত হয়েছেন এবং এই বাম-প্রগতিশীল আন্দোলনের পেছনে মূল শক্তি হিসাবে কাজ করেছেন ভারমন্টের ডেমোক্র্যাট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।
ইহুদি পরিবারে জন্ম মি. স্যান্ডার্স ষাটের দশকে বেশ কয়েক বছর ইসরায়েলে বসবাস করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে তিনি ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীলও ছিলেন। ২০১৬ সালে সালে তিনি প্রথম যখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন সে সময় তার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের কথা শোনা যায়, যেটা ছিল ডেমোক্র্যাট শিবিরে একটি ব্যতিক্রম।
২০১৬ সালের মার্চে যখন হিলারি ক্লিনটনের সাথে প্রার্থিতার লড়াইয়ের বিতর্ক চলছিল, সে সময় হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করেছিল। বার্নি স্যান্ডার্স তখন খোলাখুলি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। তাদের বেকারত্ব, ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরদোর, স্কুল, হাসপাতালের করুণ পরিস্থিতি তিনি তুলে ধরেন।
সে সময় গার্ডিয়ান পত্রিকার এড পিলকিংটন লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি দুর্ভোগের কথা বললে নির্বাচনে হারতে হবে বলে যে অলিখিত রীতি প্রচলিত ছিল, তা ভেঙ্গে ফেললেন বার্নি স্যান্ডার্স।’
অবশ্য স্যান্ডারস প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দুটো লড়াইতেই হেরে যান। তবে তার এই মতামত ডেমোক্র্যাট দলের অনেক সমর্থক হাতে তুলে নেয়। সেই সাথে শিক্ষা, চিকিৎসা, মজুরির সাম্যতা এবং পরিবেশ ইস্যুতে আন্দোলনকারী বিভিন্ন প্রগতিশীল প্লাটফর্মগুলোতে স্যান্ডার্সের ওই অবস্থান জনপ্রিয়তা পায়।
প্রার্থী হতে না পারলেও বার্নি স্যান্ডার্স তখন থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা বাড়িয়ে চলেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ‘বেপরোয়া বর্ণবাদী এবং একনায়ক’ বলে একাধিকবার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এই সংঘাত নিয়ে যেসব কথা তিনি বলেছেন তা এখন ডেমোক্র্যাটিক দলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মতামতের প্রতিফলন।
বার্নি স্যান্ডার্স লেখেন, ‘যেটা সত্য তা হলো ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরায়েলই একমাত্র সার্বভৌম রাষ্ট্র। শান্তি, সুবিচারের পথে না গিয়ে তারা তাদের ভারসাম্যহীন ক্ষমতা এবং অগণতান্ত্রিক দখলদারিত্ব শক্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত।’
ফিলিস্তিনিদের জীবনেরও দাম আছে
নিউইয়র্ক টাইমসের ওই মন্তব্য প্রতিবেদনের শেষে মি. স্যান্ডার্স লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রজন্মের এক আন্দোলনকারী প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকার রাস্তায় আমরা এই আন্দোলনকারীদের দেখেছি। আমরা ইসরায়েলে তাদের দেখেছি, আমরা ফিলিস্তিনি এলাকায় তাদের দেখেছি।’
স্যান্ডার্সের শেষ শব্দগুলো ছিল– ‘ফিলিস্তিনি লাইভস ম্যাটার’ অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জীবনেরও দাম রয়েছে।
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান তুলে আমেরিকাতে যারা রাস্তা কাঁপিয়েছেন, তাদের নজর ঘুরেছে এখন ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে। তারা মনে করছেন. মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ন্ত্রণহীন নির্যাতন চলছে।
বৃহস্পতিবার সেন্ট লুইস থেকে প্রথমবারের মত নির্বাচিত সদস্য কোরি বুশ কংগ্রেস অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সেন্ট লুইসের মানুষ আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন জীবন বাঁচাতে। তার অর্থ আমাদের পয়সায় পুলিশের সামরিকীকরণ, অন্যের জায়গা-জীবন দখল, সহিংস দমন-পীড়নের বিরোধিতা করি আমরা। আমরা যুদ্ধ বিরোধী, দখলদারিত্ব বিরোধী এবং জাতিভেদ বিরোধী।’
‘পুলিশকে টাকা বন্ধ করে দাও’ স্লোগানের মত এখন ‘ইসরায়েল সেনাবাহিনীতে টাকা বন্ধ করে দাও’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে তিনি বলেন।
ট্রাম্প এবং ওবামা
আমেরিকাতে এখন প্রায় সমস্ত নীতি নিয়ে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মেরুকরণ হচ্ছে। ইহুদি রাষ্ট্রের ব্যাপারে অমেরিকার নীতিও এখন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ইসরায়েল সমর্থকদের জন্য বড় ধরণের অস্বস্তি তৈরি করছে। তার কারণ, দীর্ঘদিন ধরে বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকা এবং আমেরিকার দক্ষিণপন্থীদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা অনেক ডেমোক্র্যাটের জন্য অস্বস্তি তৈরি করছে।
ওবামার সময়ে ২০১৫ সালে রিপাবলিকানদের আমন্ত্রণে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নেতানিয়াহুর ভাষণ এবং ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি যাতে কংগ্রেস অনুমোদন না করে তার সেই আহ্বান অনেক ডেমোক্র্যাট ভোলেননি।
এরপর, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পুরো চার বছরের ক্ষমতাকালে নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি ডানপন্থীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের মানবিক সাহায্য বন্ধ করে দেন। মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে নিয়ে আসেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন আপোষ মীমাংসায় ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন।
এসব কারণে এমনকি মধ্যপন্থী অনেক ডেমোক্র্যাটও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে তাদের পুরনো অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছেন।
যগবি বলেন, ‘এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ, ইসরায়েলি স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেও ট্রাম্প ইহুদি ভোটারদের কাছে থেকে তেমন সমর্থন আদায় করতে পারেননি। কিন্তু তিনি মিথ্যা আশা করে বসেছিলেন। আমেরিকার ইহুদিরা মূলত উদারমনা এবং প্রগতিশীল একটি সম্প্রদায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সনাতনী ধরার বাইডেন
ওয়াশিংটনে কংগ্রেসর ভেতর ইসরায়েল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিতর্কের গতিধারায় বেশ কিছুদিন ধরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু হোয়াইট হাউজের কাজে তার ছিটেফোঁটা প্রতিফলন সবে দেখা দিতে শুরু করেছে।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের মত ঘোরতর ইসরায়েলি সমর্থকও যখন যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন, বাইডেন তখনও চুপ ছিলেন। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবও আটকে দেয় হোয়াইট হাউজ।
বাইডেনের সাথে নেতানিয়াহুর প্রথম টেলিফোন আলাপ নিয়ে যে বিবৃতি দেয়া হয়, তাতে ইসরায়েলের বিন্দুমাত্র সমালোচনা ছিলনা। বরঞ্চ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথাই তুলে ধরা হয়। এমনকি এই সংঘাত শুরুর ঠিক আগেই ইসরায়েলকে প্রায় ৭৪ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির এক চুক্তি অনুমোদন করেন বাইডেন।
সন্দেহ নেই বাইডেন একটি সরু দড়ির ওপর হাঁটছেন। কংগ্রেসে তার গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো পাশ করাতে দলের বামপন্থী অংশের সমর্থন তার জন্য জরুরি। এখন পর্যন্ত দলের এই অংশটি প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছে, কিন্তু ইসরায়েলের যে আচরণকে তারা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসাবে দেখে সেগুলোকে যদি প্রেসিডেন্ট পাত্তা না দেন তাহলে তাকে ত্যাগ করতে তারা দ্বিধা-বোধ করবে না।
যগবি আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই আমেরিকাতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ক্রমাগত বাড়তে দেখছি। এটি ততো বড় কোনো ইস্যু হয়নি কিন্তু এখন এটি বড় ইস্যু হয়ে উঠছে, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। এর পেছনের শক্তি হচ্ছে অশ্বেতাঙ্গ, তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা এবং দলের প্রগতিশীল অংশ।’
বিদেশ নীতিতে বিশেষ করে আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে, জনমতের এই প্রতিফলন এখনও তেমন নেই। বাইডেন এখনও বিষয়টিকে ততটা গ্রাহ্য করছেন না। কিন্তু ডেমোক্র্যাট শিবিরের ইসরায়েলি সমর্থকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন, বহু বছর ধরে জনকল্যাণ ইস্যুতে বাইডেনের যে গ্রহণযোগ্যতা, তা নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।
রাজনীতিকরা তদের সমর্থকদের বেশি দিন অবজ্ঞা করে টিকে থাকতে পারেন না।
এএইচ/