আগামীকাল মুজিব কিল্লা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ২২ মে ২০২১ শনিবার
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব আর জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূল অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করতে মুজিব কিল্লা নির্মাণ করেছে সরকার। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মুজিব কিল্লা তৃনমূলের মানুষকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বলে অভিমত স্থানীয়দের। আগামীকাল ২৩ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুটি মুজিব কিল্লা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবছর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস কেড়ে নেয় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। শুধুমাত্র নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে সিডর, আইলা, ফনি, আম্ফানের মতো ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের সাথে সলিল সমাধী হয়েছে হাজার হাজার গবাদী পশুর।
১৯৭০ সালের ভয়াল বন্যার পর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালে উপকূলীয় জেলাগুলোতে মানুষের জানমাল রক্ষায় নির্মিত হয় মাটির কিল্লা। দীর্ঘ বছর এসব কিল্লা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেদখল হয়ে যায়।
সম্প্রতি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীতে ৫২টি মুজিব কিল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যে দুটি কিল্লার কাজ শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য এ দুটিকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। আগামীকাল রোববার (২৩ মে) নির্মিত দুটি মুজিব কিল্লা, ১২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং দুটি ত্রাণ গুদাম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের কথা রয়েছে। আর এসব স্থাপনা উদ্বোধনের খবরে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
সমতলের চেয়ে প্রায় ১১ ফুট উঁচুতে পুরনো মাটির ওই কিল্লার ওপরে চার হাজার ১৫ বর্গমিটার আয়তনের দীর্ঘ ভবন করা হয়েছে। কিল্লার সংরক্ষণে মাটি ক্ষয়রোধে লেকের দিক থেকে সিসি ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়েছে। ভবনের ভেতরের কক্ষে এবং প্রয়োজনে ভবনের ছাদে মানুষ দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় নিয়ে পারবেন।
ভবনগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সুবিধাসহ রয়েছে সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেমও। এই কিল্লায় গবাদিপশুর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৫৫৮ বর্গমিটারের শেড।
একটি কিল্লা নির্মাণে চুক্তিমূল্যে ধরা হয়েছে এক কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ টাকা।
এএইচ/