নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত, ২ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ২৪ মে ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১১:২০ এএম, ২৪ মে ২০২১ সোমবার
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ পরিণত হয়েছে। সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০২(দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হয়ে একই এলাকায় ১৬.৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার (২৪ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কি.মি. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে বুধবার নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।
এদিকে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয়েছে ইয়াসে। এর পর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এগোতে থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়। সোমবার রাতের মধ্যে আরও শক্তি বাড়াবে ইয়াস। বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়।
রোববার রাত পৌনে একটা থেকে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও একঘণ্টা, কোথাও বা তার বেশিক্ষণ ধরে ঝড়-বৃষ্টি চলতে থাকে।
এএইচ/