ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

হাবিপ্রবি খুলে দেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩৪ পিএম, ২৪ মে ২০২১ সোমবার

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো: ফজলুল হকের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার (রুটিন দায়িত্ব) বরাবর স্বারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চারটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- ১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে আটকে থাকা সকল সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্বশরীরে গ্রহণ করা হোক। ২. অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া হোক। ৩. অতিদ্রুত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা হোক এবং ৪. সেশন জটের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা প্রজ্ঞাপন দিলেই আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে ডীন কমিটির সঙ্গে মিটিংয়ে বসে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। মন্ত্রানালয় যদি স্ব-শরীরে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করে তবে স্ব-শরীরে পরীক্ষা নেয়া হবে। অন্যথায় যদি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করে তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যাতে লেখাপড়ার মধ্যেই থাকে। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা করছি দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত আসবে।

ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, আমরা গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রণালয়। এতে করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হবে। তবে করোনা সংক্রমণ ৫%-এর নিচে না নামা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্ব-শরীরে পরীক্ষা দিতে পারবে না, সেক্ষেত্রে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি যাতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার স্বার্থে ১০ লাখ ভ্যাকসিন দেয়া হয়। তবে যে ভ্যাকসিন দেশে আসবে সেগুলো মেডিকেলের ছাত্রদের দেয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। এরপর ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে তা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় সে ব্যাপারে চেষ্টা চালাবো।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে দুপুর সোয়া ১২টায় দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দেন তারা।

এএইচ/