ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আজও ভরসা সেই মুশফিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ২৫ মে ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:২২ পিএম, ২৫ মে ২০২১ মঙ্গলবার

আজও ফিফটি ছুঁয়েছেন মুশফিক

আজও ফিফটি ছুঁয়েছেন মুশফিক

সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। এদিনও টস জিতে ব্যাটিং করছে টাইগাররা। তবে একাদশে একাধিক পরিবর্তন এনেও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের টানা ব্যর্থতায় আজও শতরানেই আগেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে দল।

সেই খাঁদের কিণার থেকে আজও দলকে টেনে তোলার কাজে নিমগ্ন মুশফিক। বিপর্যয়ের বিপরীতে অপরাজিত আছেন ৮৫ রান নিয়ে। যাতে ৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৯৬ রান। তবে এরপরই বৃষ্টি নামে মিরপুরে, বন্ধ হয়ে যায় খেলা। 

টপ অর্ডারের নিয়মিত ব্যর্থতার মাঝে আগের ম্যাচে তাও ফিফটি করেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু আজ ব্যর্থতার কাতারে শামিল হয়েছেন অধিনায়কও। যাতে আগের দিন ২৩ ওভারে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারালেও আজ মাত্র ৭৪ রানেই চার টপ অর্ডারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ১৬তম ওভারেই জুটি বাঁধতে হয়েছে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে।

পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে দলের ইনিংসকে টেনে নিয়ে চলেছেন সম্মানজনক একটা অবস্থানে পৌঁছে দিতে। সেই লক্ষ্যে ১৮ ওভার খেলে দুই ভায়রা যোগ করেন ৮৭টি মূল্যবান রান। যাতে বাংলাদেশ দল টপকে যায় দেড়শ রানের কোঠা। মুশফিক এদিনও ফিফটি ছুঁয়েছেন- এটি তার ৪১তম ফিফটি। ৭০ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পথে মাত্র একটি বাউন্ডারি মারেন মি. ডিপেন্ডেবল। যদিও ৪১টি রান করে আউট হয়ে ফিরেছেন তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাওয়া বড় ভায়রা রিয়াদ।

মূলত এই জুটিই ছিল টাইগারদের ভরসা। তাইতো এই জুটি ভাঙতেই যেন ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের বাঁধার দেয়ালও। পর পর আউট হয়ে ফেরেন মিরাজ ও আফিফ। যাতে ১৮৪ রানের সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই মারমুখী শুরু করেন তামিম ইকবাল। ইসুরু উদানার করা প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান এই ওপেনার। তবে বলটি নো হওয়ায় পাঁচ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরে। পরের বলটিও বাউন্ডারিতে পাঠান তামিম। ফলে এক বলেই ৯ রান ওঠে বোর্ডে। পরের বলটা ওয়াইড দেন উদানা। পরের বলে আবার বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। ফলে ২টি লিগ্যাল ডেলিভারিতেই ১৪ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। 

বাঁহাতি উদানার ওই ওভারে আরও একটি রান যোগ করলেও পয়েন্টে লঙ্কান ফিল্ডারের হাত থেকে বেঁচে যান তামিম। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসা দুশমন্থা চামিরার হাত থেকে আর বাঁচতে পারেননি অধিনায়ক। লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে ব্রেক-থ্রু পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচে ফিফটি করা তামিম ফেরেন ৬ বলে ১৩ রান করেই। 

তবে চামিরার কারিশমা যেন এখানেই শেষ নয়। দুই বল পর ক্রিজে নতুন আসা সাকিবকেও একইভাবে তুলে নেন লঙ্কান গতিময় এই পেসার। সাকিব আগের ম্যাচে ১৫টি রান করলেও এ ম্যাচে ফেরেন শূন্য হাতেই। ফলে ১৫ রানেই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

পরে মুশফিকের সঙ্গে মিলে ৩৪ রান যোগ করলেও আজও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন লিটন দাস। সান্দাকানের প্রথম শিকার হয়ে ফেরে যান ব্যক্তিগত ২৫ রান করেই। যাতে ৪৯ রানেই তৃতীয় উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। এই অবস্থায় ক্রিজে এসে দলকে আরও বিপদের মাঝে ফেলে মাঠ ছাড়েন এ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরা মোসাদ্দেক। সান্দাকানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১০টি রান। যাতে ৭৪ রানেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক দল।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত, আফিফ হোসাইন ধ্রুব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: দানুশকা গুনাথিলাকা, কুসল পেরেরা (অধিনায়ক), আসেন বান্দারা, কুসল মেন্ডিস, পাথুম নিসাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইসুরু উদানা, লাকশান সান্দাকান, দুশমন্থা চামিরা।

এনএস/