ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটে পানিবন্ধি হাজারও পরিবার 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ২৬ মে ২০২১ বুধবার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে বন্ধি হয়ে পড়েছে মোরেলগঞ্জ পৌর সদরসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন। ভোলানদীর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলার পাঁচটি গ্রামসহ পনের হাজার মানুষ পানিবন্দী। রাতের বৃষ্টি ও সকালের জোয়ারে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা এসব গ্রামের অংশ বিশেষ প্লাবিত হয়েছে 

এসব মানুষের শোবার ঘর, রান্নাঘরসহ সব জায়গা পানিতে থই থই করছে।মারাত্মক বিপাকে পড়েছে এসব মানুষ। পানিবন্ধি এসব মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। 

মোরেলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচ এম মাহমুদ আলী বলেন, আমার ইউনিয়নে গাবতলা, কাঠালতলা, খাউলিয়া, পানিবন্ধি শত শত পরিবার ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকোনুজ্জামান বলেন, মোরেলগঞ্জ পৌরসভা, মোরেলগঞ্জ সদর, বারইখালী, খাউলিয়া, বহরবুনিয়া, পুটিখালী, তেলিগাতি, পঞ্চকরণ, বলইবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় পনের হাজার পরিবার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার কিছু মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। ক্ষয়ক্ষতি ও যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। 

শরণখোলা গ্রামের মো আবুল কালাম শিকদার বলেন, রাতের বৃষ্টির সাথে সাথে ভোলানদীর পানি বৃষ্টি পায়। সকালের জোয়ারে বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। শুধু পানি নয় ঢেউয়ে ঘরের পোতাও নষ্ট হয়ে গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের মো. ইদ্রিস খলিফা, নেয়ামুল জমাদ্দারসহ কয়েকজন বলেন, রাতেও বুঝতে পারনি এত পানি হবে। সকাল ৮টার দিকে হটাৎ পানি এসে আমাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। সবাইকে নিয়ে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছি। ভাটিতে পানি কমলে বাড়ি যাব। না হয় রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।

চরগ্রামের জলিল গুরু ও সাইদুল শিকদার বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিটি ঝড়েই আমাদের ডুবতে হয়। মূল্যবান মালামাল নষ্ট হ। হাঁস মুরগী মারা  যায়। সকালের হঠাৎ পানিতে চরগ্রামের সবার বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মুন্সি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। অনেকের রান্না বান্নাও বন্দ রয়েছে। নদীর পাশে বাড়ি হওয়াটাই আমাদের কাল হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে শরণখোলা উপজেলার কিছু মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করবেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান লিখে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
কেআই//