মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ এগিয়ে চলছে (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ৩০ মে ২০২১ রবিবার
এগিয়ে চলছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ। ভূমি অধিগ্রহণ ও নকশা তৈরির কাজ শেষ দিকে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে এই গভীর সমুদ্রবন্দর বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যাবে। এতে চাপ কমবে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর। তবে কন্টেইনার হ্যার্ডেলিংসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়তি গতি পাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রাম থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি। এখানেই গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর। জাপানী প্রতিষ্ঠান জাইকা বন্দরটির অর্থায়ন করছে। এর বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার। এখন কাজ চলছে পুরোদমে।
কম গভীরতার কারণে ১৩৪ বছরের পুরনো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে একটি জাহাজ সর্বোচ্চ ২ হাজার কন্টেইনার নিয়ে ভিড়তে পারে। যদিও এ অঞ্চলের কলম্বো, চেন্নাই বন্দরে এর চেয়ে কমপক্ষে ৫ গুণ ধারণক্ষমতার জাহাজ নোঙ্গর করে। আর চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমও বাড়ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির দ্বিগুণ হারে।
এমন বাস্তবতায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাই ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র নির্মাণের এই উদ্যোগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার কন্টেইনার নিয়ে ভিড়বে মাদার ভেসেল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম বলেন, আট থেকে ১০ হাজার কন্টেইনার নিয়ে জাহাজ আসতে পারবে। আর ১ লাখ মেট্রিকটনের বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। এই সক্ষমতা যখন আমরা অর্জন করতে পারবো, এটি হচ্ছে ২০২৫ সালে মাতারবাড়িতে দুটি জেটি তৈরি হবে।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সহজ শর্তে জাইকা ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে, বাকি ৬ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে জোগান দেবে সরকার।
জাফর আলম আরও বলেন, একটি হবে ডেডিকেটেড কন্টেইনারের জন্য আরেকটি হচ্ছে মাল্টিপারপাস, সেখানে কারও করতে পারবো কন্টেইনারও করতে পারবো। এটি আরও সুযোগ দেবে, ৭ সিস্টার, ভুটান এবং নেপাল এই জায়গায় কানেক্টিভিটি হবে।
এদিকে, মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে আশার কথা বলছেন শিপিং ব্যবসায়ীরাও। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজ ও গতিশীল হওয়ার প্রত্যাশা তাদের।
কন্টিনেন্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম পোর্ট এখন আমাদের নিজেদের জন্যই যথেষ্ট নয়। মাতারবাড়ি আসলে আমাদের কাজের গতি বাড়বে।
প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় নবদিগন্তের সূচনা হবে। অর্থনীতিতেও রাখবে বড় অবদান, এমনটাই আশা ব্যবসায়ীদের।
ভিডিও-
এএইচ/