সেনবাগে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যাচেষ্টা, কিশোর গ্যাং আতঙ্কে এলাকাবাসী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ৩০ মে ২০২১ রবিবার
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মাদ্রসাছাত্র হাবিবুর রহমান।
নোয়খালী সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান (২০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গত শুক্রবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় এমরান, শান্ত, দুলাল, টিপু, রতন, সরোয়ার ও একরামসহ ১০/১৫ জন কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় অভযোগ দেয়া হয়েছে।
আহত মাদ্রাসা ছাত্র হাবিবুর রহমান স্থানীয় ইয়াকুব আলি মিয়াজী বাড়ির (খালাসি বাড়ি) সৌদি প্রবাসী ইয়াসিন মিয়ার ছোট ছেলে।
স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাবিব ও খলিল মিয়ার হাটে গেলে স্থানীয় এমরান, শান্ত, দুলাল, টিপু, রতন, সরোয়ার ও একরামের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে হাবিবের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে আহত করে।
এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে ভয়ে লোকজন সরে যায়। এসময় তারা হাবিবকে চোখ বেঁধে অপহরণ ক্রএ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে।
এসময় হাবিবের সাথে থাকা মোটরসাইকেল, মানিব্যাগ ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া তাকে দাগনভূঁইয়ার মৃধারহাট এলাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন।
অভিযোগ রয়েছে, এসব সন্ত্রাসী এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে তরুণ সমাজকে বিপথগামী করছে। মূলত,
কিশোর গ্যাং প্রধান এমরান হোসেন বাপ্পি এলাকায় এক আতঙ্কের নাম। দীর্ঘ দিন এলাকায় এক ধরণের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে সে। চাঁদাবাজি, মাদক, আপহরণ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এই গ্যাং প্রধান। তরুণদের পড়াশুনা নষ্ট করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এই সন্ত্রাসী এমরান।
এলাকাবাসী জানায়, এমরানের নেতৃত্বে শান্ত, একরামসহ ২০ জনের একটি গ্রুপ হাবিবের উপর হামলা চালিয়ে অপহরণ করে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চাঁদার টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবত এমরান ও তার বাহিনী হাবিবের পরিবারের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। চাঁদার টাকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাবিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে কিশোর গ্যাং প্রধান এমরান হোসেন বাপ্পি।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় এমপি দেখছেন।
এনএস/