কুকের রেকর্ড স্পর্শ করবেন এন্ডারসন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ৩১ মে ২০২১ সোমবার
ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ডের মালিক সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। তবে আগামী ২ জুন থেকে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে খেলতে নামলে কুকের ১৬১ টেস্ট খেলার রেকর্ডে ভাগ বসাবেন বর্তমান দলের পেসার জেমস এন্ডারসন। যদিও তার কাছে এটি কল্পনাতীত।
এন্ডারসনের প্রিয় বন্ধু কুক পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ওপেনার হিসেবে খেলেছেন। আর ৩৮ বছর বয়সী এন্ডারসন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ৬১৪টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। লংগার ভার্সনে একজন পেসারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এন্ডাসন বলেন, আক্রমন বিভাগের নেতৃত্ব দিতে শারীরিকভাবে আরও বেশি ফিট থাকতে হবে তাকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টি ও ভারতের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট খেলার আশা করছেন এন্ডারসন। সতটি টেস্ট খেলতে পারলে বড় ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা সেরা তিন খেলোয়াড়ের পরেই থাকবেন এন্ডারসন। তখন তার ম্যাচ সংখ্যা হবে ১৬৭টি।
২০০টি টেস্ট খেলে এই তালিকায় সবার উপরে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। তাই টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার বিশ্ব রেকর্ডটি টেন্ডুলকারের দখলে। ১৬৮টি ম্যাচ খেলে যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহ।
সংবাদমাধ্যমকে এন্ডারসন বলেন, ‘এটি আমাকে গর্বিত করে। আমি এক মিলিয়ন বছরেও কল্পনা করিনি, আমি এই অবস্থায় পৌঁছাতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত সংখ্যক ম্যাচ খেলা বর্তমান কোন বোলারের খেলা শব্দটা কেমন হবে আমি জানি না। কিন্তু আমার কাছে এটি অবিশ্বাস্য। কারন, আমি কখনো ভাবিনি, এতগুলো ম্যাচ আমি খেলবো।’
ইংল্যান্ডের সতীর্থদের জন্য উদযাপন হওয়া ‘ইন উইথ হার্ট’-এর অনুষ্ঠানে এন্ডারসন বলেন, ‘আমার শরীর ক্লান্তি বোধ করে না।’
তিনি বলেন, ‘ আমি টেস্ট ক্রিকেটকে পছন্দ করি, এর জন্য আমার প্রচন্ড আবেগ রয়েছে। ছ্টে বেলা থেকে আমি যা চেয়েছি তা হলো- ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলা। এবং এই দীর্ঘ সময়ে যা করেছি সে জন্য আমি গর্ব বোধ করি।’
ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলাতে কুককে স্পর্শ করাটা এন্ডারসনের জন্য দুর্দান্ত একটি মূর্হুত হবে। কারন ১৮ বছর আগে এই লর্ডসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো এন্ডারসনের।
তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালে আমি প্রথম লর্ডসে আমার অভিষেক হয়েছিল। এই মাঠের পরিবেশ আপনি বিশ্বের অন্য কোথাও পাবেন না।’
প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১ হাজার উইকেট শিকার থেকে মাত্র ৮ উইকেট দূরে এন্ডারসন। ২৫৯ ম্যাচে ৯৯২ উইকেট তার। ২০০৫ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের পেসার হিসেবে এমন মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন এন্ড্রু ক্যাডিক।
এন্ডারসন বলেন, ‘এই সময়ে এবং এই বয়সে আর প্রথম-শ্রেনির উইকেট পাওয়া সম্ভব কি-না, তা আমি জানি না। যে পরিমাণ ক্রিকেট খেলা হচ্ছে তাতে বোলারদের মধ্যে আর সেই দীর্ঘ স্থায়ীত্ব থাকবে বলে মনে হয় না। বর্তমানে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটও প্রচুর আছে এবং বিশ্বজুড়ে আরও অনেক কিছুই চলছে।’
ল্যাঙ্কাশায়ারের এ সুয়্যিং বোলার বলেন পরিস্যখ্যানগত মাইলফলকের চেয়েও তার ক্যারিয়ারে অরো অনেক কিছু রয়েছে।
নতুন ইতিহাস লেখার সময় মাঠে দর্শক উপস্থিতির জন্য উন্মুখ হয়ে আছের এন্ডারসন। করোনার কারনে গেল বছর সাউদাম্পটন টেস্টে রুদ্ধদার স্টেডিয়ামে ৬শ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন এন্ডারসন।
তবে আগামী সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ৭হাজার দর্শকের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। আর এডজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৮ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এন্ডারসন বলেন, ‘সেখানে দর্শক উপস্তিতি বিশেষ কিছু হতে চলেছে। আমি নিশ্চিত নই, প্রাণহীন সঠিক শব্দ কি-না, কারন দর্শক ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দর্শকরা মাঠে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ কওে, যেটা আমরা মিস করছি। দর্শকরাও আমাদের সরাসরি দেখতে পারাটা মিস করেছে।’
এসএ/