ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৯ জন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ৩ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:১৯ পিএম, ৩ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের ফলে এ পর্যন্ত ৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। একইসময়ে ৮৬৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।

এভাবে প্রাণঘাতী করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে মানুষজনকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো মারাত্মক রোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দিল্লীতে এই রোগের সাথে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরে ৯২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। রাজধানীতে এ পর্যন্ত ১০৪৪টি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।  

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অর্থাৎ মিউকরমাইকোসিস রোগটিকে ইতোমধ্যে দিল্লিতে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লি সরকার এ জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। করোনাভাইরাসের পরে, এবার মাহামারি রূপ নেওয়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগের মোকাবিলার জন্য সরকার যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ করছে।

আজ লোকমত হিন্দি গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, দেশে এপর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সিধু ওই তথ্য জানিয়েছেন। সিধু বলেন, রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মোট তিনশোটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এরমধ্যে ২৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন, এবং ২৩৪ জন এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন। 

তিনি বলেন, রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের তিনশোটি ঘটনার মধ্যে ২৫৯ জন রোগী পাঞ্জাবের এবং ৪১ জন অন্য রাজ্যের। মন্ত্রী আরও বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ২৫ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এবং ৩৮ শতাংশ রোগীর বয়স ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।    

মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে সরকারী মহারাজা যশবন্ত রাও হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে গত ২০ দিনের মধ্যে ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

হরিয়ানায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের ফলে এ পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৭৩৪ জনের বেশি রোগীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। হরিয়ানায় এ পর্যন্ত ৯২৭টি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এসব ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ও ওই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।       

মিউকরমাইকোসিস শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের মলিকিউলার বায়োলজির সংক্রমক ব্যাধির ইনচার্জ ডা : সুমন পোদ্দার বলেন, এই রোগটি আগেও ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে। মিউকরমাইকোসিস নতুন কোনও রোগ নয়।

তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াতেই এই ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিডের জেরে এমনিতেই ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ছে। সেজন্য রোগও সেখানে বাসা বাঁধছে সহজেই। নিউমোনিয়া হচ্ছে অনেকের। বর্ষায় কিংবা ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এমনিতেই ফাঙ্গাল গ্রোথ বেশি হয়ে থাকে। এগুলোই মিউকরমাইকোসিসের বাড়বাড়ন্তের এবারের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে বলে ডা : সুমন পোদ্দার মন্তব্য করেন।

এসি