চীনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর বাইডেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ৪ জুন ২০২১ শুক্রবার
চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরো জটিল হলো। চীনের ৫৯টি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জো বাইডেনের প্রশাসন। ফলে এর মধ্য দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের পথেই হাটলেন বাইডেন। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ প্রকাশ করেছে চীন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ৩১টি চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছিল, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষেই ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার জো বাইডেন প্রশাসন সেই তালিকা নিয়েই ফের আলোচনায় বসেছিল। সেখানে একদিকে বেশ কয়েকটি সংস্থার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, আবার নতুন করে কয়েকটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সব মিলিয়ে ৫৯টি সংস্থার উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জরিপের মাধ্যমে অ্যামেরিকার শত্রুদের তালিকা প্রকাশ করে থাকে গ্যালাপ। প্রতিষ্ঠানের ২০১৮ সালের জরিপে দেখা যায়, গত কয়েক বছরের মতো এবারও অ্যামেরিকার শত্রু তালিকার শীর্ষ দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার নাম আছে। ২০১৬ সালে ১৬ ভাগ মানুষ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তিকে হুমকি হিসাবে বিবেচনায় নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে এসে হুমকি বিশ্বাসকারীদের সংখ্যা ৫১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আগামী ২ অগাস্ট থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা সকলেই কোনো না কোনো ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বিশেষত, উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছে।
নিষেধাজ্ঞার অর্থ, কোনো মার্কিন সংস্থা ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। ওই সংস্থাগুলি আমেরিকায় কোনো রকম ব্যবসা করতে পারবে না।
ট্রাম্প আমলে চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। ডনাল্ড ট্রাম্প করোনা থেকে শুরু করে উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের ব্যবহার- একাধিক বিষয় নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খানিকটা উন্নত করবেন। কিন্তু বাস্তবে বাইডেন প্রশাসন সে পথে হাঁটছে না। চীনের ৫৯টি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি সে কথাই স্পষ্ট করল।
চীন জানিয়েছে, সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে অ্যামেরিকা ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে চীনকেও কঠিন পদক্ষেপের কথা ভাবতে হবে। একই সঙ্গে চীন জানিয়েছে, আমেরিকা যে কাজ করেছে, তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনের পরিপন্থী।
সূত্র : ডয়েচ ভেলে
এসএ/