বাঁচার তাগিদে পেশা বদল করছেন শিক্ষকরা (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ৭ জুন ২০২১ সোমবার
করোনায় লণ্ডভণ্ড শিক্ষাসূচি। দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। হুমকির মুখে পড়েছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বেসরকারি স্কুল-কিন্ডারগার্টেনগুলো পরিণত হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষকরাও পেশা বদল করছেন।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাঝে সংক্রমণ কিছুটা কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে আর সম্ভব হয়নি। দেশে প্রায় চল্লিশ হাজার কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষার্থী প্রায় পৌনে এক কোটি।
কিন্ডারগার্টেনগুলোর প্রায় সবই ভাড়া বাড়িতে চলে। গত ১৫ মাস বন্ধ থাকায় একে একে বন্ধ হচ্ছে স্কুলগুলো। বাঁচার তাগিদে পেশা বদল করছেন শিক্ষকরা।
ধলপুর কিন্ডারগার্টেন ও হাইস্কুল। বাইরে সাইনবোর্ডটি থাকলেও ভেতরে বসেছে দোকান। শিক্ষকরা এখন দোকানি।
প্রধান শিক্ষক জানালেন, টিকে থাকতে এ ছাড়া আর কিছু করার নেই।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল জানান, উদ্দেশ্য সময় কাটানো এবং আর্থিক সাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনা। কিন্তু আসলে সেটা হয়নি।
আইডিয়াল প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া। শেষ বয়সে এসে পড়েছেন বিপাকে। তিনি জানালেন, স্কুল তো বন্ধই, কিভাবে চলবো আমরা। পরিবারে ৪-৫ সদস্য, কোত্থেকে খাবার আসবে। আমাদের দিকে তাকানোর কেউ নেই।
স্কুলের সামনের ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করাই যেনো নিয়তি। তিনি বলেন, বাইরে বসলে পুলিশে আঘাত করে উঠিয়ে দেয়, একদিন জোড় করে ৯টি লুঙ্গি নিয়ে গেছে।
বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেনের অবস্থা একই রকম।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বেতন-ভাতা না পাওয়ার কারণে একটি বড় বিপদের মধ্যে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কায়িক শ্রমিকে যুক্ত হচ্ছেন।
রাজধানীর অনেক স্কুল অনলাইন ক্লাস চালু রাখলেও শিক্ষার্থী একেবারেই কম।
ভিডিও-
এএইচ/