রেলওয়ের আগাম টিকেট বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম ও কালোবাজারির অভিযোগ
প্রকাশিত : ০৬:৩৬ পিএম, ১৪ জুন ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৭:০৩ পিএম, ১৪ জুন ২০১৭ বুধবার
ঈদে বাড়ি যেতে রেলওয়ের আগাম টিকেট বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম ও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় দিনে দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষার পর; বিক্রি শুরুর আধাঘন্টা পরই জানিয়ে দেয়া হয় অনেক রুটে টিকেট শেষ। এদিকে বাস স্ট্যান্ডগুলোতে, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর রুটে টিকেট মিলছে না। তবে সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে সংকট নেই।
অগ্রীম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনে, গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী রুটে ২২ থেকে ২৪ জুনের টিকিট নিয়ে দেখা যায় হাহাকার। প্রথম দিনেই শেষ হয়ে যায় সোনার হরিণ।
কিন্তু, ঠিক এই সময়ে, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে, সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে, টিকিটের তেমন সংকট নেই। অনলাইনে ও পাওয়া যাচ্ছে মিলছে বলে, টিকেট প্রত্যাশীদের আনাগোনাও কম।
প্রতি বছরই, ঈদে মহাসড়কের ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হয় বলে, অনেকেই এবারও বিকল্প ব্যবস্থাপনায় ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, বলেই মত কারো কারো।
এদিকে, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল, টিকেট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভীড়। বিক্রির তৃতীয় দিনে দেওয়া হয়, ২৩ জুনের টিকেট। রাতভর অপেক্ষার প্রহরগুনে, কাংক্ষিত সোনার হরিণ, হাতে পেয়ে স্বস্তি ছিল অনেকের।
তবে, টিকেট বিক্রি শুরু আধাঘন্টার মধ্যেই, শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি’র টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হলে ক্ষোভ জানান অনেকে। মিলেনি অন্য অনেক রুটের টিকেটও। অসাধু কর্মকর্তা ও কালোবাজারিদের তৎপরতা আছে, বলেই অভিযোগ বিক্ষুব্ধ মানুষের।
যদিও, এসব কিছুতেই, মানতে নারাজ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন কোটায় শতকরা ৩৫ ভাগ সিটের টিকেট সংরক্ষিত থাকায়, বাকী ৬৫ ভাগ টিকেট কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে, বলেই এমন অভিযোগ আসছে, বলেই মত এই কর্মকর্তার।