১৯ মার্চ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরাস্ত হয় পাকিস্তানিরা
প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৬ শনিবার
আগে থেকেই পূর্ব বাংলায় গণহত্যার পরিকল্পনা করে রেখেছিলো পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা। এজন্য একাত্তরের মার্চেই সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে নিরস্ত্র করার ষড়যন্ত্রও করেছিল তারা। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র ফাস হয়ে যাওয়ায় ভেতরে ভেতরে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালী সৈনিক ও ছাত্র-জনতা। ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে ২য় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালী সৈন্য ও ছাত্রজনতার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরাস্ত হয় পাকিস্তানিরা।
প্রথমে নিরস্ত্রিকরণ তারপর গণহত্যা, এমন ষড়যন্ত্রের কথা আগে থেকেই জেনে যায় দ্বিতীয় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিক এবং কর্মকর্তারা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনের দিকনির্দেশনা আর পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের ষড়যন্ত্র হিসেবটা সহজ করে দেয়। মরণপন যুদ্ধের জন্য তৈরি হয় আপামর ছাত্র জনতা এবং বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকরা ।
১৯ মার্চ ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব পাঞ্জাবি সৈন্য নিয়ে জয়দেবপুরে আসছেন বলে খবর আসে বাঙালি সৈনিকদের কাছে। সাথে সাথেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান তারা।
অন্যদিকে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করেন সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকরা।
উত্তাল জনরোষ আর বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিখুঁত নিশানায় পরাস্ত হয় পাকিস্তানিরা। এই লড়াই-ই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
শহীদ হন হুররম, সন্তুষ, মুন্নু খলিফাসহ নাম না জানা অনেকে।