ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ওয়েবিনার সিরিজ ‘এভরিথিং চেঞ্জ’

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৯:১৪ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

ঢাকা লিস্ট ফেস্টের সহযোগিতায় আজ থেকে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত ‘এভরিথিং চেঞ্জ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। সিরিজটি প্রযোজনা করছে টালিয়েসিন আর্টস সেন্টার এবং সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভিটি’র অধ্যাপক ওয়েন শিয়ার্স। জলবায়ু সঙ্কটের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সৃজনশীলতা, অ্যাডাপ্টিভ থিংকিং এবং গল্প বলা কি ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে ‘এভরিথিং চেঞ্জ’ -এ আলোচনা সহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। 

শিল্পকলা এবং সৃজনশীল শিল্পের পাশাপাশি বিজ্ঞান, আইন, ব্যবসা, পাবলিক পলিসি, অ্যাক্টিভিজম ও শিক্ষাক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে গঠিত এভরিথিং চেঞ্জ বিতর্ক ও নতুন ভাবনার সুযোগ তৈরির এক ব্যতিক্রমী ফোরাম। এ ফোরামে বর্তমান সময়ের জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফোরামটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ক্রিয়েটিভ কমিশন সমর্থিত একটি প্রকল্প, যা সংস্থাটির ‘দ্য ক্লাইমেট কানেকশন’ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে; জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী মানুষকে একসাথে করার বৈশ্বিক কর্মসূচি ‘দ্য ক্লাইমেট কানেকশন’ এ বছরের নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কোপ২৬ সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় পরিচালিত হচ্ছে। 

১০ জুন ঔপন্যাসিক, কবি, উদ্ভাবক এবং দু’বার বুকার পুরস্কার বিজয়ী মার্গারেট অ্যাটউডের উপস্থিতিতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচিটি শুরু হচ্ছে। তিনি ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাফ সাজের সাথে আলাপচারিতায় এভরিথিং চেঞ্জ নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে তার কাজ এবং অনবদ্য ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করবেন। লেখক এবং শিল্পীরা কম্যুনাল ইমাজিনেশনের বিপ্লবে কীভাবে অবদান রাখতে পারেন এবং ব্যক্তি সঙ্কটে পাশে দাঁড়ানোর জন্য গল্প বলার নতুন ধরন অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মার্গারেটের আলোচনায় আগ্রহীরা যোগ দিতে পারবেন। 

আগামী ১১ থেকে ১৯ জুন (রাত ১২টা বাংলাদেশ সময়) অনলাইনে আটটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে যেখানে পরিবর্তনের সাতটি প্রধান ক্ষেত্রের - অর্থ, খাদ্য, পানি, জ্বালানি, ন্যায়বিচার, গল্প এবং নিজস্ব পরিবর্তন - ওপর আলোকপাত করা হবে। শৈল্পিক উদ্দীপনার সাথে প্রত্যেকটি আয়োজনে বিভিন্ন ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও চিন্তাবিদ উপস্থিত থাকবেন। টালিয়েসিন আর্টস সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি ইভেন্টের টিকেট (ফ্রি) এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে: www.taliesinartscentre.co.uk। 

বাংলাদেশের বক্তাদের মধ্যে থাকবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) -এর পরিচালক ড. সালিমুল হক; আইনজীবী, জেন্ডার ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী স্কলার ড. ফস্টিনা পেরেইরা; সমাজকর্মী, নারীবাদী, পরিবেশবিদ খুশি কবির; সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সামিয়া জামান; মেরিন সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট, সাসটেইনেবিলিটি সায়েন্স, সোশ্যাল-ইকোলজিকাল সিস্টেম বিশেষজ্ঞ সামিয়া সেলিম; ব্র্যাক বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ পরিচালক শামেরান আবেদ; এবং আইনজীবী ও পরিবেশবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।  

এছাড়া, ‘এভরিথিং চেঞ্জ রাইটার্স ল্যাব’ প্রোগ্রামটির একটি অংশ, যা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘ক্রিয়েটিভ কমিশনস ফর দ্য ক্লাইমেট’ দ্বারা সমর্থিত। ঢাকা লিট ফেস্টের সাথে অংশীদারিত্বে নির্মিত এবং এভরিথিং চেঞ্জ ইভেন্টের প্রোগ্রাম দ্বারা সক্রিয় এই ল্যাবটি জলবায়ু সঙ্কটের গল্প ও কথা নতুনভাবে তুলে ধরতে ওয়েলস এবং বাংলাদেশ থেকে ছয়জন প্রতিভাধর লেখকের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। আগামী বছর জানুয়ারিতে ঢাকা লিট ফেস্টে এই লেখকদের কবিতা, কথাসাহিত্য এবং নাটক প্রকাশিত হবে। 

এ নিয়ে সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন শিয়ার্স বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগ গ্রহণের অভাব বা কিছু না করা মনুষ্য প্রজাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতার গল্প। আমরা কীভাবে প্রকৃতির সাথে আমাদের সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং আমরা এখন কীভাবে জীবনযাপন করছি ও সে সম্পর্কে আলোচনা ও কল্পনা করি এবং গল্প বলি তার যথার্থতা আমাদের আবার ভেবে দেখা প্রয়োজন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এভরিথিং চেঞ্জ -এ আমরা কিছু সৃজনশীল ব্যক্তিদের একত্রিত করতে পেরেছি এবং এ আয়োজন আমাদের কল্পনাশক্তির উন্নয়নে এবং সবার জন্য উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে অবদানে ভূমিকা রাখতে পারবে।’ 

ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাফ সাজ বলেন, ‘এই আসন্ন সঙ্কটের ধ্বংসাত্মক প্রভাবগুলো ইতিমধ্যে স্পষ্ট এবং আমাদের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আবশ্যক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত প্যানেলটি নিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা সামনে দিনের চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি তা নিয়ে প্যানেলটি আলোচনা করবে। সৃজনশীল শিল্পী এবং লেখকরা এই আলাপচারিতায় আমরা কীভাবে বিশ্ব এবং বিশ্বে আমাদের অবস্থানকে বিবেচনা করতে পারি তা অন্বেষণ এবং আলোচনা করবে।’ 

আরকে//