আমদানি রফতানি গতিশীল করতে ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের বৈঠক
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ১১ জুন ২০২১ শুক্রবার
করোনা সংক্রামন রোধে করোনা টিকা কার্ড নিয়ে ট্রাকচালকদের দেশে প্রবেশ ও সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালু নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দুদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে সৃষ্ঠ বিরোধ মিটিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে আমদানি রফতানি কার্যক্রম গতিশীল করতেই এ বৈঠক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় দুদেশের ব্যবসায়ীদের আহবানে হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তাদের মাঝে এই বৈঠক চলে।
বৈঠকে ভারতের হিলি এক্সপোটার্স এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট আ্যসোসিয়েশন এর সভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল ও সাধারন সম্পাদক ধিরাজ অধিকারীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, আশুতোষ সাহা, রমানাথা সাহা, গনেশ সাহা, রাজেশ আগারওয়ালা, বিপ্লব চাকী। বাংলাদেশের পক্ষে হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ, সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, শাহীনুর রেজা শাহীন, পৌরমেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, ইদ্রিস আলী মিঠু, বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানি রফতানি চালু ও করোনার টিকা প্রদানের কার্ড নিয়ে ট্রাকচালকদের দেশে প্রবেশ ও পক্ষান্তরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এসব দাবী না মানা ও পণ্য রফতানি বন্ধের হুমকিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৃষ্ঠ বিরোধের কারনে আজকের বৈঠকে দুপক্ষই দু:খ প্রকাশ করেছেন।সেই সাথে বন্দর দিয়ে করোনা পরিস্থিতির মাঝে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম আরো গতিশীল করা যায় সেবিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসাথে বন্দরের ভেতরে পণ্যের চালান রিসিপ ও ওজন কম হওয়ার বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মাঝে আলোচনা করা হয়।
সর্বশেষ দুপক্ষ আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত বন্দর দিয়ে সকাল থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সকল ধরনের পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালু থাকবে। এছাড়াও সকাল সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ থেকে খালি ট্রাকগুলো ভারতে চলে যাবে এর পর দ্রুত বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি চালু হবে। বিকেল সাড়ে ৪টার পর বন্দরে পণ্য খালাসকৃত ভারতীয় ট্রাকগুলো ভারতে ফেরত যাবে। এছাড়াও ট্রাক চালকদের টিকার বিষয়ে আমরা তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি যতদ্রুত সম্ভব সকলকে টিকার আওতায় আনতে। এসময় তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন তাদের ১ হাজার ২শ চালকের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪শ ট্রাক চালককে টিকা প্রদান করেছে বাকিদের অচিরেই টিকার আওতায় আনবে। এছাড়াও বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে দুদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়গুলো নিজ নিজ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মেটানোর সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরকে//