সংস্কৃতির বাজেট নিয়ে পথমূকাভিনয় পরিষদের ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার
বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদের আয়োজনে ‘সংস্কৃতির বাজেট এবং আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অন্তর্জাল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ জুন, রোববার রাত ৯টায় আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেন- নাট্য গবেষক ও বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভস’র প্রতিষ্ঠাতা বাবুল বিশ্বাস, গবেষক ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ঢাকা বিভাগের সমন্বয়কারী কামরুল হাসান খান এবং কবি ও সংগঠক সাহেদ কায়েস।
বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদের আহ্বায়ক রিজোয়ান রাজনের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাহিদ রিপন। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদের সদস্য সচিব সোহাগ আশরাফ।
আয়োজনে সংহতি প্রকাশ করে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন মাইম আইকন কাজী মশহুরুল হুদা, মূকাভিনয়গ্রন্থ প্রণেতা ও দেশের অন্যতম মূকাভিনয়শিল্পী জিল্লুর রহমান জন এবং বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল ধীমান সাহা জুয়েল।
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ০ দশমিক ০৯৭ শতাংশ। আর তাতে ‘বিস্মিত, হতবাক এবং ক্ষুব্ধ’ দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা। বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদও প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতির জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানায়।
বক্তরা একটি মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিবাদী সমাজ নির্মাণে মানুষের চিন্তায় এবং মননে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দেশব্যাপী একটি সাংস্কৃতিক জাগরণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা জানান, এই সাংস্কৃতিক জাগরণ শুধুমাত্র সংস্কৃতি কর্মীদের শিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং একক প্রচেষ্টায় বেশি দূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ অপরিহার্য।
বক্তরা বলেন, দেশে যখন সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতা দৃশ্যমান হয়, নারী-শিশু নির্যাতন, মাদকাসক্তি ও অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটে, মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়- কেবল তখনই সবাই সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসারের কথা বলে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে এই অঙ্গনটি বেশ উপেক্ষিত।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দেশের সংস্কৃতিকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে এবং একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে সরকারকে সংস্কৃতির বাজেটে আরও নজর দেওয়ার দাবি জানান।
এসএ/