তৃতীয় জয় পেল শাইনপুকুর, দোলেশ্বরের ষষ্ঠ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০১:৩৯ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার
জয়ের আনন্দে উদ্বেলিত প্রাইম দোলেশ্বর
ফিফটি না পেলেও ব্যাট হাতে নিয়মিতই পারফর্ম করে যাচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। অধিনায়কের সঙ্গে আজ যোগ দিয়েছেন সাজ্জাদুল হকও। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে এবং পরে বোলারদের নৈপুণ্যে খেলাঘরকে ১৫ রানে হারালো শাইনপুকুর। অন্যদিকে, ১১৮ রান করেও রুপগঞ্জের বিপক্ষে ১৪ রানের জয় পেয়েছে দোলেশ্বর।
আজ সোমবার মিরপুরে ডিপিএলের নবম রাউন্ডের ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে নির্ধারিত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে শাইনপুকুর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে তিনে নামা সাজ্জাদের ব্যাট থেকে। তাঁর ৩৪ বলের এই ইনিংসে ছিল তিনটি করে চার ও ছয়ের মার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। পাঁচটি চারের সাহায্যে ৪২ বল মোকাবেলায় এই রান করেন তিনি। মূলত তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজনের ব্যাটেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় শাইনপুকুর। শেষ দিকে একটি করে চার ও ছয়ে ১৩ বলে ১৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে দেড়শ পার করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
খেলাঘরের পক্ষে স্পিনার মেহেদী মিরাজ দুই ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও একাই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে উইকেট শিকারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে বসেন পেসার খালেদ আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন সাদ্দাম হোসাইন ও মাসুম খান।
জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২০ বলে ২৭ রান তুলে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিলেও ইফতেখার সাজ্জাদ ও তানভীরের স্পিনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে খেলাঘর। মাঝে বৃষ্টি নামলে খেলা কমে আসে ১৬ ওভারে, নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১১০ রানেই থামে খেলাঘরের ইনিংস। যাতে ডিএল মেথডে ১৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শাইনপুকুর।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে সাদিকুর রহমানের ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি করেন ২৭ রান। বল হাতে ব্যর্থ মিরাজ এদিনও ব্যর্থ ছিলেন ব্যাট হাতে। ওয়ান ডাউনে নেমে মাত্র ৪ রানে ফেরেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। অন্যদিকে, শাইনপুকুরের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও মোহর শেখ।
সাভারের চার নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত সকালের অপর ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বোলিং তোপের মুখে পড়ে এক বল বাকী থাকতেই মাত্র ১১৮ তুলে গুটিয়ে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে। এছাড়া শামিম ১৭, সাইফ ১৬ ও মার্শাল ১৩ রান করেন।
লিজেন্ডসদের পক্ষে ২৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন মোহাম্মদ শহীদ। এছাড়া মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন নাবিল সামাদ। একটি করে উইকেট লাভ করেন সানজামুল ইসলাম, মুক্তার আলী ও হোসাইন আলী।
তবে বোলিংয়ে নেমে ওই রানকেই পুঁজি করে ১৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিনে থাকা দলটি। কামরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের পেস তোপের মুখে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন লিজেন্ডসরা। কামরুল ১৫ রানে ৩টি ও শফিকুল মাত্র ৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন।
এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল্লাহ, এনামুল হক জুনিয়র ও ফরহাদ রেজা। যাতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি রুপগঞ্জ। হেরে যায় ১৪ রানেই। এনিয়ে ষষ্ঠ পরাজয় দেখলো লিজেন্ডসরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে আল আমিনের ব্যাট থেকে। তাঁর ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল মাত্র একটি চারের মার। এছাড়া ওপেনার আজমির আহমেদ ২৩ ও শেষ দিকে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩ বলে ১৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি বোলিংয়েও আলো ছড়ানো মোহাম্মদ শহীদ।
এই জয়ে নয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আবারও দুইয়ে উঠলো ষষ্ঠ জয় পাওয়া দোলেশ্বর। তবে বিকেল যদি আবাহনী জয় পায়, তাহলে আবারও তিনে নেমে যেতে হবে ফরহাদ রেজার দলকে।
এনএস/