পরীমণিকাণ্ডের প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার
নায়িকা পরীমণিকে ‘ধর্ষণ চেষ্টার’ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ঢাকা জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনি গ্রেপ্তার হন।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ৩টায় তাকে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে। মামলার পরই আলোচিত ব্যবসায়ী নাসিরকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পরীমণির অভিযোগের ভিত্তিতে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে উত্তরার সেক্টর-১ এর ১২ নম্বর রোডস্থ নিজস্ব বাসা (১৩ নং) থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বেশকিছু মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নায়িকা পরীমণিকে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ ঘটনার লিখিত অভিযোগ হাতে নেওয়ার পর সেটি মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম।
এর আগে, রোববার (১৩ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিস্তারিত জানান ঢালিউড নায়িকা পরীমণি। তুলে ধরেন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিবরণ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিনেত্রী জানান, গত বুধবার (৯ জুন) রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও পরীর পোশাক ডিজাইনার জিমির সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। রাত ১২টার দিকে অমি তাদের নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীর পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরে অমি সেখানে থাকা নাছির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সে সময় নাছির ইউ মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাছির ইউ মাহমুদ পরীকে মদ খেতে প্রস্তাব করেন। পরী রাজি না হলে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন।
এসএ/