ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে মৌসুমী ফলের জমজমাট বাজার

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার

মৌসুমী ফলের জমজমাট বেচা-কেনা চলছে মিরসরাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী করেরহাট বাজারে। পাহাড়ি এলাকার মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল, জাম, আনারস, লেবু, পেয়ারার জন্য এই বাজারের সুখ্যাতি ব্যাপক। এবার পাহাড়ে ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হাটে কয়েক লাখ টাকার কেনাবেচা হচ্ছে।

মিরসরাইয়ের উত্তরে অবস্থিত এই বাজারে সপ্তাহে দু’দিন রবি ও বুধবার হাট বসে। ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা আসেন মৌসুমী ফল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে। তুলনামূলক কম দামে ক্রয়-বিক্রয় হয় বলে পাইকারদের কাছে করেরহাটের সুনাম রয়েছে।

সরেজমিনে করেরহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মধু ফলের মৌসুমে করেরহাট বাজারের চেহারাই বদলে গেছে। বাজারের প্রধান সড়কের দুই পাশে আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, জামরুল ও লিচুর খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের বিকিকিনি। এলাকাটি মিষ্টিমধুর গন্ধে ভরপুর। 

অধিকাংশ সময় বাজারের নির্দিষ্ট স্থানে সংকুলান না হওয়ায় বিক্রেতারা সড়কের ওপরেও ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। হাটবারের আগের রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আম, কাঁঠাল, আনারস নিয়ে বিক্রেতারা বাজারে আসতে থাকেন। মূলত পাইকারি বিক্রয় বেশি হলেও খুচরা বিক্রির পরিমাণও কম নয়। 

পাইকাররা হাটবারের ভোর থেকেই স্থানীয় চাষী ও বিক্রেতাদের কাছ থেকেই ফল সংগ্রহ শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাইকাররা তাদের সংগ্রহ করা ফল নিজস্ব পরিবহনে বোঝাই করে নিয়ে যান। এখানকার কাঁঠাল ফেনী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এবার কাঁঠালের বিকিকিনি বেশি হলেও আনারস, লেবুর বিক্রয় উল্লেখ করার মতো। 

বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য জাবেদ আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে মৌসুমী ফলের জন্য বিখ্যাত এ বাজার। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব ফলই ফরমালিন তথা বিষমুক্ত।
 
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, স্থানীয় ও পাহাড়ি অঞ্চল থেকে কৃষকরা যেন তাদের উৎপাদিত মৌসুমী ফল নির্বিঘ্নে বেচা-কেনা করতে পারে এ জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। পাইকারেরা এখান থেকে বিভিন্ন ফল ক্রয় করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লাসহ অনেক জেলায় নিয়ে যায়।

এএইচ/