ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

সমুদ্রপথে গাছের চারা রপ্তানির সূচনা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার

প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে চারা গাছ রপ্তানির সূচনা করলো বাংলাদেশ। আট প্রজাতির প্রায় চার হাজার চারা গাছের একটি চালান এরই মধ্যে রফতানি হয়েছে কাতারে। গাছের চারা রপ্তানির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশি বিভিন্ন ফলের চাহিদা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে রফতানি হলো মাল্টা, জামরুল, লেবু, সফেদা, কাঠ বাদাম, নিম ও বট গাছের প্রায় চার হাজার চারা। গত সপ্তাহে গাছের চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায় মার্কস শিপিং লাইনের জাহাজ এমভি জিয়ামেন। গাছের চারা আমদানি করছে কাতারের দোহারে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আল নাইমি ল্যান্ড স্ক্যাপিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি গাছের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এবছর প্রায় এক কোটি টাকার চারা গাছ রফতানি করা যাবে বলে জানান রফতানিকারকরা।

চট্টগ্রামের মেসার্স বিজরা এন্টারপ্রাইজ শামসুল ইসলাম বলেন, পৌনে তিনবছর যাবত অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা শিকার করে এসেছি। এরই মধ্যে বিমান পথে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ১০টির মতো শীপমেন্ট করেছি। সমুদ্রপথে আমরা এই প্রথম শীপমেন্ট করলাম।

সমুদ্র পথে গাছের চারা রফতানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের সব শর্ত অনুসরণ করে ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানান সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, আমি যেটুকু জেনেছি, আসলে এর ভেতরে কোন সয়েল দেয়া হয়নি। যেটা রুট গমন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা পুরোপুরি শনাক্ত করা গেছে।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, অনেকগুলো নার্সারি আছে, ভবিষ্যতে আমরা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবো। উদ্যোগতা এখন প্রচুর পরিমাণে আছে।

বিদেশে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা রফতানির মাধ্যমে নার্সারী মালিকরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ভিডিও-

এএইচ/