ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

সাফল্যের পাল্লাই ভারি বিএসইসির বর্তমান কমিশনের (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ২১ জুন ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ২১ জুন ২০২১ সোমবার

বিএসইসির বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর গতি ফিরেছে পুঁজিবাজারে। লেনদেন ও সূচকে এসেছে বড় পরিবর্তন। তবে বাজারের বৈশিষ্ট্য খুব একটা বদলায়নি। স্বার্থরক্ষায় বাজারকে জিম্মি করার পুরোনা কৌশল ছাড়তে পারেননি বড় বিনিয়োগকারীরা। আর ছোট কোম্পানির শেয়ারে ভর করে সক্রিয় কারসাজি চক্র। তারপরও প্রথম বছরে নতুন কমিশনের সাফল্যের পাল্লাই ভারী দেখছেন বিশ্লেষকরা।

পুঁজিবাজারের চরম দুর্দিনে গেল বছরের ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। এরপর দু’দফায় আরও তিনজন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে গত বছরের ৯ জুন পূর্ণতা পায় বর্তমান কমিশন। দায়িত্ব নিয়েই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ শুরু করেন তারা।  

স্থবির পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করে গতি। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইর ১৫০ কোটি টাকার গড় লেনদেন এখন ২ হাজার কোটি টাকার ওপরে। ৪ হাজার পয়েন্ট থেকে সূচক ৬ হাজার পয়েন্টে। আর ৩ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা যোগ হয়ে উন্নীত হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকায়।   

বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, এগুলোর ভিত্তিতেই প্রমাণ করে যে, আমরা যে কাজগুলো করেছি সেগুলো মার্কেটের জন্য সহায়ক হয়। আমরা সুপারভিশন ও মনিটরিংকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছি। অনেক ধরনের আইনের যে ব্যতয়গুলো ছিল সেগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি।

এদিকে, গত এক বছরে ১৬টি আইপিও, সুকুক বন্ড চালুর উদ্যোগ, মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ও এসএমই বোর্ড গঠন, ৩০টি নতুন ট্রেক ইস্যু, আইপিওতে লটারি প্রথা বিলুপ্তি ও ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার মতো অনেক প্রশংসনীয় কাজও করেছে বিএসইসি।  

অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমদ আরও বলেন, কোনভাবে কমিউনিটি মার্কেট তৈরি করা যায় কিনা, কোনভাবে এখানে মিউনিসিপ্যাল বন্ড আনা যায় কিনা তার চেষ্টা করেছি।

কমিশনের প্রথম বছরের বেশিরভাগ কার্যক্রমকে ইতিবাচক বলছেন বিশ্লেষকরাও। তবে বীমা-সহ কিছু ছোট কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির ঘটনায় কমিশনের নির্লিপ্ততায় হতাশ তারা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন এফসিএ বলেন, কিছু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি, কিছু কিছু সেক্টরের শেয়ার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে যথেষ্ট মনিটরিংয়ের প্রয়োজন আছে। 

পুঁজিবাজারের গতিশীলতা ধরে রাখতে কারসাজির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপের পাশাপাশি বাজারকে তার নিজ গতিতে চলতে দেয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।

বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারকে বাজারের মতো চলতে দেয়া উচিত এবং ফ্রি মার্কেট ফোর্সে যে দামটা যেখানে যাবে এটাই সুস্থতা। এটাকে যদি বাজারে বার বার দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন তাহালে ৭শ’ গুণ দাম বেড়ে গেছে, ৫শ’ গুণ দাম বেড়ে গেছে- এইসব ঘটনা ঘটতে থাকে। বাজারে ম্যানিপুলেশন অত্যন্ত ভেরি হাই।

বর্তমান কমিশনের অনুমোদন দেয়া একাধিক আইপিওর মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। আইপিওতে কোটা সুবিধা বাতিলসহ ত্রুটিমুক্ত বুকবিল্ডিং পদ্ধতি নিশ্চিতের দাবিও তাদের।

ভিডিও-

এএইচ/