দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, দুর্ভোগে ১১ গ্রামবাসী
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ২১ জুন ২০২১ সোমবার
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নয়াপাড়া থেকে শিবসমুদ্র পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ১১ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ওই কাঁচা রাস্তা চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে এলাকার বসবাসকারী ও পথচারীরা। বহু বছরের ওই কাঁচা রাস্তাটির সমস্যা সমাধানে নেয়া হয়নি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের অবহেলার কারণে ওই কাঁচা রাস্তাটি আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসী ও পথচারীদের।
সরেজমিনে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকার নয়াপাড়া থেকে শিবসমুদ্র গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণে স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ওই রাস্তাটি দিয়ে উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বিয়ালা, ভাওজাপাতার, নয়াপাড়ার, হিমাইল, শিবসমুদ্র, পারকাটা, তাল্লা, বলি-শিবসমুদ্র, গাড়ইল, রায়ভাঙ্গি, পার্বতীপুর গ্রামের অন্তত ১৩ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার শত শত কৃষিপণ্য পরিবহন, এ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি, মোটরসাইকেল, বাই-সাইকেল, ভটভটি, ভ্যান, অটো-ভ্যান চলাচল করে। বর্তমান ওই রাস্তাটি একাধিক স্থানে ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে থাকে। তাছাড়া রাস্তার দু’ধারে নেই কোন পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থাও।
বিয়ালা-পারকাটা গ্রামের বদিউজ্জামান শেখ, মোজাহার আলী মন্ডল ও রাব্বিউল হাসানসহ অনেকেই বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করছি, যার কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তাটিতে লাগেনি আধুনিকতার কোন ছোঁয়া। বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও এই কাঁচা রাস্তাটি আর পাকাকরণ হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি একই অবস্থায় আছে।
মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নূরনবী মণ্ডল বলেন, নয়াপাড়া থেকে শিবসমুদ্র এই দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কাজের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কেন এতো দেরি হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই।
এই বিষয়ে কালাই উপজেলার এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়ে ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। রাস্তাটি পাকাকরণের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই খুব দ্রুত কাজ করা হবে।
এএইচ/