সিনহা হত্যা মামলার আসামী কনস্টেবল সাগর দেবের আত্মসমর্পণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ২৪ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৪৩ পিএম, ২৪ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার
কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত ও পলাতক আসামী কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। একই সাথে আগামী ২৭ জুন তার জামিন শুনানির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন যান টেকনাফ থানার সাবেক এই কনস্টেবল। এসময় আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ২৭ জুন জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেন।
অন্যদিকে, একই মামলায় আগামী ২৭ জুন পুলিশের সাবেক কনষ্টেবল রুবেল শর্মার জামিন শুনানির দিন এবং মামলার চার্জ গঠনের নির্ধারিত ধার্য তারিখ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, টেকনাফ থানার সাবেক কনষ্টেবল সাগর মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। সে পলাতক ছিল। আজ দুপুরে আদালতে জামিন শুনানির আবেদন করলে আদালত জামিন না মাঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ২৭ জুন জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাখেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটির তদন্ত করার নির্দেশন দেন র্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলার ৩ সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এছাড়া একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিকে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলায় নতুন করে সাগর দেবকে আসামি করা হয়েছে। তিনি ওসি প্রদীপের সকল কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সহকারী ছিলেন।
এএইচ/