ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শামিম ঝড়ে জমে গেল শিরোপার লড়াই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২৫ জুন ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩০ এএম, ২৫ জুন ২০২১ শুক্রবার

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামিম পাটোয়ারি

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামিম পাটোয়ারি

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিডিএল) সুপার লিগের শেষ পর্যায়ে এসে জমে উঠেছে শিরোপা জয়ের লড়াই। মূলত লড়াইটা হচ্ছে আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যেই। কারণ, দুই দলেরই জয়-পরাজয় ও পয়েন্ট সবই সমান, কেবল রান রেটের সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আবাহনী।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে শিরোপার লড়াইয়ে হোঁচট খেয়েছিল আবাহনী। তাই প্রাইম ব্যাংকের সামনে সুযোগ ছিল দিনের শেষ ম্যাচে জিতে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সে ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ৫ উইকেটে হেরে লড়াইটা আবারও জমিয়ে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। 

দুই দলের পয়েন্ট এখন সমান, ১৫ ম্যাচে ২২। তাই আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংকের লড়াইটা এবারের আসরের অঘোষিত ফাইনাল হতে যাচ্ছে। এবারের আসরের শিরোপা জিততে যাচ্ছে ওই ম্যাচের জয়ী দলটাই।

গতকাল ১২৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের। দলীয় ১২ রানেই বিদায় নেন দুই ওপেনার তৌকির খান (৮) ও ইমরানুজ্জামান (১)। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাইফ হাসান ও ফজলে মাহমুদ। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ১২ বলে ২০ রান করে ফজলে ফিরে যাওয়ার পর ৩১ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন সাইফও। 

ফলে ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দোলেশ্বর। তবে পঞ্চম উইকেটে ৩২ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন শামিম হোসাইন পাটোয়ারি ও মার্শাল আইয়ুব। ১৩ রান করে মার্শাল ফিরে যাওয়ার পর একাই লড়াই করে সাত বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শামিম। 

ব্যাটে ঝড় তুলে ৩০ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এই ব্যাটসম্যান। তার এই মারকুটে ইনিংসে ছিল চারটি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসাইন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম, রুবেল মিয়া ও অলক কাপালী।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংককে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। উদ্বোধনী জুটিতে তিন ওভারে ৩৩ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক। ১০ বলে ৮ রান করে আব্দুল মজিদ ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুত এনামুল হক বিজয় (১), মোহাম্মদ মিথুন (১) ও রাকিবুল হাসান (৬) ফিরে গেলে চাপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।

৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও একাই লড়াই চালিয়ে রনি তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি। তবে এরপর রনিকে আর বেশিদূর যেতে দেননি কামরুল ইসলাম। ৪১ বলে ৫৯ রান করে কামরুলের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন প্রাইম ব্যাংক ওপেনার। রনি ফিরে যাওয়ার পর এক বল বাকি থাকতেই ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।

দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নাহিদুল ইসলাম। প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে চারটি উইকেট শিকার করেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া কামরুল ইসলাম তিনটি ও শরিফুল্লাহ একটি উইকেটে পেয়েছেন।

এনএস/