করোনা ঝুঁকিতেও কাজ করছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফরা
বেনাপোল প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৯:৪২ পিএম, ২৫ জুন ২০২১ শুক্রবার
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সরকারি রাজস্ব আহরণে, কাস্টমস হাউজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সদস্যরা।
করোনাকালিন সময়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্বেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের আড়াই হাজার সদস্য। তারা সকাল ৯টা থেকে রাত অবধি বেনাপোল কাস্টমস হাউজ, বন্দর, ব্যাংক ও চেকপোস্ট কার্গো শাখায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে সরকারের রাজস্ব আদায়ে।
অথচ সরকারি, প্রশাসনিক কিংবা সামাজিক ভাবে এসব সদস্যদের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তাই করোনা ঝুঁকিতে তারা সপ্তাহের ৭ দিনই, নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেরা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও তাদের উপর নেমে আসে নানা হয়রানি। পান থেকে চুন খসলে যেমন হয় তেমন ভাবে তাদের কার্ড (কাস্টমস পারমিট) বাতিল করে দেওয়া হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথি এন্টারপ্রাইজের স্টাফ ইসরাইল হোসেন বলেন, করোনাকালিন সময়ে অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সরকারি কিংবা সামাজিক ভাবে করোনা প্রতিরোধে আমাদেরকে কোন সাহায্য ও সহযোগিতা দেওয়া হয়নি। অফিসের তরফ থেকে আমাদেরকে শুধু মাত্র মাস্ক দেওয়া হয়। সেই সুরক্ষা নিয়েই আমরা কাজ করে চলেছি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সকল স্টাফদের মাঝে গত বছর করোনাকালিন সময়ে নগদ অনুদান, সুরক্ষা সামগ্রী, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করেছিলাম। কিন্তু এ বছর করোনা দ্বিতীয় ঢেউ এ সরকারি কিংবা সামাজিক ভাবে কেউ এগিয়ে আসেনি। সদস্য ভাইরা যে যেভাবে পারছে, তাদের কাজে ছুটে চলছে।
তিনি বলেন, সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আহরণে নিয়োজিত এসব সৈনিকদের দিকে সরকারসহ সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
আরকে//